নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা সদর সাব-রেজিস্ট্রী অফিসের পিয়ন মহসিনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ দলিল লেখকরা। সাব রেজিস্ট্রারের এজলাসের পাশের চেয়ারে বসে পিয়ন মহসিন
দলিল লেখকদের কাছ থেকে কৌশলে টাকা দাবী করেন। টাকা না দিলে মেলে না দলিল রেজিষ্ট্রী। একই সাথে চলে দলিল লেখকদের সাথে অসদ আচারণ। তাকে খুশি’ না করে এ অফিসে কোনো কাজই করা সম্ভব হচ্ছে না বলে কয়েকজন দলিল লেখকরা উক্ত অভিযোগ করেন।
কয়েকজন দলিল লেখক জানান, বিগত দিনে সাব রেজিস্ট্রার নিজেই কাগজপত্র দেখে সিরিয়াল অনুযায়ী দলিল রেজিষ্ট্রী করতো কিন্ত বর্তমানে সব কাগজপত্র মহসিনকে দেখাতে হয়। এবং দলিলের কোন সার্টিফাই কপি নেওয়ার জন্য তাকে টাকা প্রদান করিতে হয়। তা না হলে প্রত্যেকটা দলিলে মহসিন কোন না কোন ভুল ধরে। তার পরে চলে টাকার চাহিদা। চাহিদা অনুযায়ী টাকা দিতে পারিলে দলিল রেজিষ্ট্রী হয়, তা না হলে দলিল রেজিষ্ট্রী হয় না।
দলিল লেখকরা আরো জানান, শ্যামনগরের সাব রেজিস্ট্রার জোবায়েরের ভাই স্ট্যাম্প ভেন্ডার সাদ্দামের মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে সিরিয়াল ছাড়াই মহসিনের মাধ্যমে
দলিল রেজিষ্ট্রী করে এবং সাব রেজিস্ট্রারের ভাই বলে আস্ফালন করে থাকে।
শুধু এখানেই শেষ নয়, মহসিন জেলা রেজিস্ট্রার এর কম্পিউটার অপারেটর বায়েজিদ ও তার ভাই নকল নবিশ জাকির এর নেতৃত্বে সিন্ডিকেট তৈরী করে ২০২৪ সালে লেখক সমিতির নিকট হতে লাইসেন্স নবায়নের নামে সরকারি চালান বাদে দুই লক্ষ টাকা আদায় করে । তার কিছুদিন পর দলিল লেখকদের রেজিস্ট্রার খাতা চেক করার নামে লেখকদের কাছ থেকে ৫শত টাকা করে আদায় করে।
এসব বিষয়ে প্রতিকার চাইতে গেলে দলিল লেখকদের অসদ আচারনের অভিযোগ দেখিয়ে সাস পেন্ড করার হুমকি দিয়ে বের করে দেয় জেলা রেজিস্ট্রারের কম্পিউটার অপারেটর বায়েজিদ। যে কারনে তাদের ভয়ে দলিল লেখকরা মুখ খুলতে সাহস পায় না। গত কয়েকদিন আগে এক দলিল লেখককে মহসিনের কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেন তিনি নিজেই।
এসব বিষয়ে মহসিনের বিরুদ্ধে দলিল লেখক সমিতির সদস্যরা জেলা রেজিস্ট্রারের কাছে অভিযোগ দিলেও পায়নি কোন প্রতিকার। উল্টো সাব রেজিস্ট্রার বলেন, মহসিন আছে বলেই দলিল গুলো রেজিষ্ট্রী করাতে পারি। না হলে ১৫ / ২০ টার বেশি দলিল রেজিষ্ট্রী করবেন বলে জানান জেলা রেজিস্ট্রার ।
এমতাবস্থায় দলিল লেখক ও সাধারণ সেবা প্রার্থীরা প্রতিনিয়তই হচ্ছে হয়রানীর শিকার । যে কারনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মহসিনের অনিয়ম, দূর্ণীতি ও তার সাথে জড়িত সংশ্লিষ্টদের তদন্তপূর্বক শাস্তির আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভূক্তভোগীরা। এ বিষয়ে পিয়ন মহসিনের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।