নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ জলবায়ু উন্নয়ন ও মানবাধিকার সংস্থা
(সিডিএইচআরএস) এবং পায়রা হাউস কন্সট্রাকশন এন্ড ভিলেজ
ডেভলপমেন্ট কোম্পানী প্রাইভেট লিঃ নামের এনজিও’র চেয়ারম্যান
গোলাম মোস্তফা টুলু কর্তৃক অবৈধভাবে অর্ধশত কোটি টাকা
হাতিয়ে নেয়ার প্রতিবাদে স্মারক লিপি প্রদান করা হয়েছে। শিক্ষিত
বেকার যুবক ও যুবতীদের চাকুরী দেয়ার নামে এবং অসহায় ও দুস্থ
মানুষের মাঝে ঘর ও নলকুপ দেয়ার কথা বলে তিনি এসব টাকা হাতিয়ে
নেন। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবরে
স্মারকলিপি প্রদান করেছেন ভূক্তভোগীরা।
স¥ারক লিপিতে তারা উল্লেখ করেন, বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রমের
লিফলেট প্রচার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভূয়া আইডি খুলে
প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা টুলু বিভিন্ন অঞ্চলের
সহজ সরল অসহায় মানুষের নজরে আসেন। এরপর যুবক-যুবতীদের চাকুরী,
দুঃস্থ ও অসহায়দের মাঝে ঘর ও গভীর নলকূপ বিতরণের নামে অর্থ সংগ্রহ
শুরু করেন। টুলুর মিষ্টি কথার জালে খুলনা, যশোর ও সাতক্ষীরার এলাকার
সহজ সরল মানুষগুলো নিজেদের শেষ সম্বলটুকু তার হাতে তুলে দেন।
এভাবে প্রায় অর্ধশত কোটি টাকা আত্মসাত করে রাতারাতি লাপাত্তা
হন এনজিওটির চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা টুলু। তিনি নিজেকে
পায়রা গ্রুপ অব কোম্পানী, পায়রা গার্মেন্টস অ্যান্ড ফ্যাশন
কোম্পানী, পায়রা হাউজ কন্সট্রাকশন অ্যান্ড ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট কোঃ
লিঃ, মেসার্স মোস্তফা এন্টারপ্রাইজ, পিজিসি ফ্যামিলি,
সিডিএইচআরএস এর চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন পরিচয় দিয়ে প্রত্যন্ত
অঞ্চলের সহজ সরল মানুষদের জন্য বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রমের লিফলেট
প্রচার করে নজরে আসেন।
স্মারক লিপিতে আরো উল্লেখ করা হয়, সম্প্রতি দুই শতাধিক অসহায় ও
দুস্থ মানুষের মাঝে ঘর ও নলকুপ স্থাপন করে বিল না পাওয়ায় ওই কাজের
ঠিকাদার মোঃ এনামুল হক এনাম বাদী হয়ে রাজধানীর সবুজবাগ
থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ডিবি পুলিশ তাকে
গ্রেপতার করে আদালতে সোপর্দ করেন। বর্তমানে প্রতারক গোলাম
মোস্তফা টুলু কারাগারে রয়েছেন। এদিকে এবিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন
পত্রপত্রিকায় গত ১৪ জুলাই খবর প্রকাশিত হলে ফুঁসে উঠে খুলনা ও
সাতক্ষীরার মানুষ। ওই রাতেই খুলনার ভুক্তভোগীরা ওই প্রতারকের নামে
মামলা দায়ের করেন। স্মারকলিপিতে এ সময় ভুক্তভোগীরা ওই প্রতারক
গোলাম মোস্তফা টুলুর বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনানুগ ব্যবস্থা
গ্রহনসহ তারা যাতে তাদের কষ্টার্জিত টাকা ফেরত পান সেজন্য
পূর্ববর্তী পোস্ট