ডেস্ক রিপোর্ট ঃ
পশ্চিম সুন্দরবন থেকে হরিণ শিকার করে ভূরিভোজ করার অভিযোগে সাতক্ষীরা রেঞ্চের নোটাবেঁকী ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল বাহারামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
গত সোমবার (১ মার্চ) খুলনা বিভাগীয় বন সংরক্ষক ড. আবু নাসের মহসিন হোসেন এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্চের কর্মকর্তা আবুল হাসান জানান, ফাঁড়িতে হরিণ ধরা হয়েছে কিনা এ বিষয়ে বিভাগীয় বন কার্যালয়ের পক্ষ থেকে আমাকে তদন্তভার দেয়া হয়। তদন্ত করে আমি প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। জমা দেওয়ার পর ১ মার্চ ফাঁড়ির ইনচার্জকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
তিনি বলেন, গত মাসে ওই ফাঁড়িতে দেওয়া নিরাপত্তা বেষ্টনী জালে সুন্দরবনের একটি হরিণ আটকা পড়ে। এরপর হরিণটিকে ধরে ফাঁড়িতে জবাই করা হয়। এর বেশি কিছু বলেননি তিনি।
জানা গেছে, নোটাবেঁকী অভয়ারণ্য এলাকায় ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল বাহারামের পরিচিত ও নিকট আত্মীয়রা বেড়াতে আসেন। এ সময় হরিণ শিকার করে তাদের আতিথেয়তা করা হয়। ঘটনাটি কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা বোটম্যান ফজলুল হক গোপনে মোবাইল ফোনে ধারণ করে বভাগীয় বন সংরক্ষকের দফতরে পাঠান। এরপর শুরু হয় ঘটনার তদন্ত।
এ অভিযোগের বিষয়ে নোটাবেঁকী ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল বাহারাম বলেন, এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। মিথ্যা অভিযোগ তুলে আমাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বন কর্মীদের অভ্যন্তরীণ গ্রুপিংয়ের কারণে আমাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হচ্ছে।
ঘটনার বিষয়ে খুলনা বিভাগীয় বন সংরক্ষক ড. আবু নাসের মহসিন হোসেন বলেন, গত ২ ফেব্রুয়ারি নোটাবেঁকী ফাঁড়িতে হরিণ শিকার করে জবাই করা হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত ফাঁড়ির ইনচার্জ। ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় ফাঁড়ির ইনচার্জকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে অন্য কারও বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। কেবল অপরাধ প্রমাণ হলে তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।