স্টাফ রিপোর্টার: সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের আরএমও ডাক্তার ফয়সাল ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী কতৃক ওয়ার্কসপ ব্যবসায়ী ও দুইজন সাংবাদিককে বাড়ির গেট বন্ধ করে ক্যামেরা, মোবাইল ছিনিয়ে নেয় ও বেধড়ক মারপিট করেছে। ঘটনাটি বুধবার দুপুর ২ টার দিকে কাটিয়া আমতলায় ডাক্তার ফয়সালের বাসভবন প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। এসময় মারধরের ভিডিও ধারণ করতে যাওয়া অন্যান্য সাংবাদিকদের মারধর করতে তেড়ে আসে ডাক্তার ফয়সাল ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। আহত সাংবাদিক হলেন দৈনিক সাতক্ষীরার সকাল পত্রিকার সহ বার্তা সম্পাদক আলতাফ হোসেন বাবু ও ব্যবসায়ী , চঞ্চল স্টীলের সত্ত্বাধিকারী শেখ মাহবুব হাসান চঞ্চল। আহত ব্যবসায়ী শেখ মাহবুব হাসান চঞ্চল বলেন, ডাক্তার ফয়সালের বিল্ডিং এর এক মাসের কাজ এক সপ্তাহে করে না দেওয়ায় ব্যবসায়ী চঞ্চলকে ডাক্তার ফয়সাল ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী মারধর করার ভিডিও ধারণ করছিল সাংবাদিকরা। এসময় ভিডিও কেন ধারন করলি বলে ডাক্তার ফয়সাল ও তার বাহিনী সাংবাদিক আলতাফ বাবুকে মারধর করে মোবাইল, ক্যামেরা, মানি ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। আহত ব্যবসায়ী চঞ্চল বলেন আমাকে মারধর করে আর বলে দেশে এমন কোন এমপি মন্ত্রী, মেম্বার, চেয়ারম্যান নাই আমার চোখের দিকে তাকায়ে কথা বললে মাটিতে পুতে চারা দেবো বলে সাংবাদিকদের মারধর করে।
এ খবর পেয়ে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে যেয়ে সাংবাদিকদের উদ্ধার করে। আহত সাংবাদিকরা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগে অন্যান্য সাংবাদিকদের সহায়তায় চিকিৎসা গ্রহণ করে।
আহত সাংবাদিক আলতাফ বাবু ও ব্যবসায়ীকে বেধড়ক মারপিটের চিত্র ধারন করার সময় ডাক্তার ফয়সাল ও তার বাহিনী কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০জন মিলে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুশি মেরে মোবাইল ও ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়। অপার সাংবাদিক দৈনিক সাতনদী পত্রিকার যুগ্ম বার্তা সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাহফুজের মোবাইল ছিনিয়ে নেয়।
ডাক্তার ফয়সাল মারধর করে আর বলে আমার কথা শুনেনি তাই আমি এ ঘটনা ঘটিয়েছি, যে যা করতে পারে করুক। আহত অপর সাংবাদিক মাহফুজ বলেন, মোবাইলে ভিডিও ধারন করায় ডাক্তার ও তার বাহিনী তেড়ে এসে মোবাইল ছিনিয়ে নেয় এবং মারধর করে। এসময় আহত সাংবাদিক ও ব্যবসায়ীরা ডাক্তার ফয়সাল ও তার বাহিনীর বিচারের জোর দাবী জানিয়েছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ডাক্তার ফয়সাল মিমাংসা করতে বিভিন্ন দপ্তরে দৌড়ঝাপ শুরু করেছে। উল্লেখ্য সাংবাদিকদের ছিনিয়ে নেয়া মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার বিষয় অস্বীকার করলেও পরে মোবাইল ফোনে সেগুলো পাওয়া গেছে বলে স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করার প্রক্রিয়া চলছিল।