সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ
যশোরের ঘোপ নওয়াপাড়া রোড থেকে নিখোঁজ মেয়ের সন্ধানের দাবিতে প্রশাসনের
হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এক অসহায় পিতা। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা
প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে মেয়ের সন্ধান দাবি করেন, জেলার শ্যামনগর
উপজেলার গোদাড়া গ্রামের জিয়াদ আলী মোল্যার ছেলে মোঃ মুজিবর রহমান মোল্যা।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার মেয়ে মোছাঃ রেহানা পারভীন (২৬) এর সাথে
তার স্বামী শফিকুর রহমানের পারিবারিক দ্বন্দ সৃষ্টিার ঘটনায় আদালতে একটি
মামলা চলমান আছে। রেহানা পারভীন তার শিশু মেয়ে আখি (৭) ও ছেলে জাহিদ(৫)
কে নিয়ে গত ৫ বছর ধরে যশোর কোতয়ালী থানার ঘোপ নওয়াপাড়া রোডের ৮৩ নম্বর
বাসার মৃত বদলুল আলম বদন এর ছেলে মোঃ মহিউদ্দীন রহমানের বাড়িতে ভাড়াটিয়া
হিসাবে বসবাস করছে। অর্থনৈতিক অনটন থাকায় রেহানা পারভীন একই রোডের ২৪২
নম্বর বাসার মালিক রফিকুর রহমান তোতনের ছেলে মোঃ হাফিজুর রহমান শিলুর
বাসায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। মাঝে মাঝে মেয়ে আমার বাড়িতে যাতায়াত
করতো এবং মোবাইলে প্রায়ই সময় কথা হতো। ২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর আমি
যশোরে মেয়ের বাসায় বেড়াতে যাই এবং পরের দিনে শ্যামনগরে বাড়ি ফিরে আসার
সময় রেহানা তার দুই ছেলে মেয়েকে আমার সাথে পাঠিয়ে দেয়। বাড়িতে পৌছে
মোবাইলে আমি কয়েক বার মেয়ের সাথে কথা বলি।
মুজিবর রহমান মোল্যা অভিযোগ করে বলেন, অক্টোবর মাসের প্রথম দিন থেকে আমার
মেয়ে রেহানার ব্যবহৃত ০১৯২২-২৬৭৭৩৪ ও ০১৭৮৬-২৫৯৫২৯ নম্বর মোবাইলে রিং
করলে নম্বর দু’টি বন্ধ পাওয়া যায়। প্রায় ৫দিন পর আমার স্ত্রী জাহানারা
বেগমকে সাথে নিয়ে যশোরে আমার মেয়ের ভাড়া বাসায় গিয়ে তাকে না পেয়ে হাফিজুর
রহমান শিলু ও বাড়ি ওয়ালা মহিউদ্দীন রহমানের কাছে রেহানা কোথায় জানতে
চাইলে তারা তারা সঠিক তথ্য না দিয়ে বিভিন্ন ধরনের অসলংগ্ন কথাবার্তা বলতে
থাকে। যশোরসহ আমাদের নিকটত আত্মীয় স্বজনদের বাড়িসহ সম্ভাব্য স্থানে খোঁজ
করে মেয়ের কোন সন্ধান পাইনি। মহিউদ্দীন রহমানের আরেক ভাড়াটিয়া আব্দুর
রহিম তরফদারের মেয়ে ফতেমার সাথে আমার মেয়ের ভাল সর্ম্পক ছিল। তার কাছে
মেয়ের বিষয় জানতে চাইলে সেও সঠিক কোন তথ্য দেয়নি। আমরা মনে হয় সে বিভিন্ন
বিষয়াদি গোপন করছে। উল্লেখিতদের কাছে আমার মেয়ের অবস্থান সর্ম্পকে বারবার
জানতে চাইলেও তারা কোন সদোত্তর না দিয়ে সন্দেহজনক কথাবার্তা বলছে।
তিনি আরো বলেন, অদ্যবধি আমার মেয়ের কোন সন্ধান পাইন। আমার ধারনা
উল্লেখিতরা পরষ্পর যোগসাজশে আমার মেয়েকে হত্যা করে লাশ গুম করেছে অথবা
অজ্ঞাত স্থানে পাচার করে অবৈধভাবে আটকে রেখেছে। মেয়ের সন্ধানের জন্য
বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি অব্যহত রয়েছে। তিনি তার মেয়ে রেহানাকে উদ্ধারে
স্থানীয় প্রশাসন সহ সংশিষ্ঠ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট