নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরার চাঞ্চল্যকর মাদ্রাসা সুপার ও সাংবাদিক
রমজান আলী হত্যা প্রচেষ্টার মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। আজ
মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরার চীফ জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক এসএম
আশিকুর রহমান এ অভিযোগ করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক
এজাহার নামীয় ৯ আসামীর মধ্যে কিশোর গ্যাং লিডার নাহিদ ও রিপনসহ
৭ আসামীর নামে প্রকাশ্য আদালতেঅভিযোগ গঠন করেছেন। এছাড়া এ
মামলার ৬ নং আসামী জিল্লুর রহমান ও ৭নং আসামী আরিফুল ইসলামের
নামে অভিযোগ গুরুতর না হওয়ায় তাদেরকে অত্র মামলা থেকে অব্যহতি দেয়া
হয়েছে।
অভিযোগ গঠনকৃত আসামীরা হলেন, ১নং আসামী শহরের ইটাগাছা
এলাকার মৃত গিয়াসের পুত্র কিশোর গ্যাং লিডার মোঃ নাহিদ (২৬), ২নং
আসামী বাঁকাল এলাকার আব্দুল গফফারের পুত্র মোঃ রিপন (২৬), ৩নং একই
এলাকার মোঃ সাবদুল এর পুত্র মোঃ সিরাজুল ইসলাম (২৭), ৪নং মৃত আক্কাজ
আলীর পুত্র আব্দুল গফফার (৫৫), ৫নং আসামী ইটাগাছা এলাকার মো
মিজানুর রহমানের পুত্র শরিফুল ইসলাম। ৮নং আসামী বাঁকাল এলাকার
আব্দুল গফফারের স্ত্রী শাহানারা খাতুন (৫০) ও ৯নং আসামী তাদের কন্যা
খুকু মনি (২৪)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে গত
বছরের ২৩ অক্টোবর কিশোর গ্যাং লিডার নাহিদ ও রিপনসহ তাদের
গুন্ডাবাহিনী হাতে রাম দা, লোহার রড, ছুরি, হাতুড়ি, জিআই পাইপ ও
বাঁশের লাঠি সহকারে বেআইনী জনতা দলবদ্ধ হয়ে শহরের বাঁকালস্থ রমজান
আলীর বাড়িতে প্রবেশ করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাচ করতে থাকে। এতে
রমজান আলী প্রতিবাদ করলে আসামী আব্দুল গফফারের হুকুমে নাহিদ,
রিপন, সিরাজুলসহ অন্যান্য আসামীরা তাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করতে
থাকে। এ সময় তার ডাক চিৎকারে বোন সাজিদা খাতুন, ভাগ্নে ফাহিম
সরদার ও রমজানের ছেলে ফারহান ফেরদৌস তাকে রক্ষা করতে আসলে উক্ত
আসামীরা তাদেরও মারপিট ও গুরুতর জখম করে। এক পর্যায়ে আসামী নাহিদ
হত্যার উদ্দেশ্যে তার হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে সজোরে রমজানের পেটের
বাম পাশে পাজরের নিচে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। আহতরা
সবাই ওই সময়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত রমজান আলীর মেঝ ভাই আব্দুর রহমান বাদী হয়ে ৯
জনকে আসামী করে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন এবং পুলিশ এ
মামলায় ৯ জনের নামে চার্জসীট দেন। এ মামলায় উক্ত আসামীরা প্রায়
সবাই দীর্ঘদিন কোরাভোগের পর জামিনে মুক্ত রয়েছেন।
এ মামলায় আসামী পক্ষের আইনজীবি ছিলেন, এড শাহিনুর রহমান ও এড.
আলতাফ হোসেন। এছাড়া এ মামলায় রাস্ট্রপক্ষের আইনজীবি ছিলেন, এড.
ওকালত হোসেন। তাকে সহযোগিতা করেন এড. এবিএম সেলিম। তারা
বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আগামী ৬ অক্টোবর পরবর্তী ধার্য দিনে
স্বাক্ষ্য গ্রহনের কার্যক্রম শুরু হবে।