শাহ জাহান আলী মিটন, সাতক্ষীরা :
‘মানব পাচার রুখতে চাই সচেতনতা, চাই ঐক্য’
‘মানব পাচার রুখতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে সরকার ও বেসরকারি সংস্থাগুলোকে। এছাড়াও পাচারের শিকারদের আইনি অধিকার নিশ্চিত করতে আমাদের উদ্যোগী হতে হবে যাতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ ন্যায় বিচার পান’- বলে মন্তব্য করেছেন সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়ার উপজেলা নির্বাহী অফিসার জহুরুল ইসলাম।
সভাপতির বক্তব্যে মানব পাচারের শিকার ব্যক্তিদের পুনর্বাসনে ও অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের নানা উদ্যোগ ও জনমনে সচেতনতা তৈরিতে চলমান প্রচারণা কার্যক্রমের প্রশংসা করেন তিনি। সোমবার (১৭ নভেম্বর ২০২৫) সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের Combating Human Trafficking through Strengthening 4Ps প্রকল্পের অধীনে আয়োজিত মানব পাচার ও অনিয়মিত অভিবাসন প্রতিরোধে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এছাড়াও উপজেলা কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন কলারোয়া থানার অফিসার-ইন-চার্জ, জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের কর্মকর্তা, সাতক্ষীরার জরিপ অফিসার আব্দুল মজিদ, কলারোয়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শেখ জিল্লু ও কলারোয়া কাজীর হাট কলেজের অধ্যক্ষ এস এম সহিদুল আলম।
মানব পাচার সার্ভাইভারদের পাশে দাঁড়াতে ও নিরাপদ অভিবাসন বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন কলারোয়া উপজেলার যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা পুলক কুমার শিকদার। কর্মশালাটি পরিচালনা করেন ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের সাতক্ষীরা এমআরএসসি’র কো-অর্ডিনেটর মোঃ হুমায়ুন রশীদ।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলার মানব পাচার ও অভিবাসন খাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ, বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ, সাংবাদিক, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ, মানব পাচারের সার্ভাইভার ও তাদের পরিবারের সদস্যগণ।
বিশ্বের সর্ববৃহৎ উন্নয়ন সংস্থা এবং সারা বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় এনজিও- ব্র্যাক, ১৯৭২ সালের প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে দেশে ও দেশের বাইরে নানা কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। ব্র্যাকের বিভিন্ন কর্মসূচিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি কর্মসূচি হল মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম। ব্র্যাকের এই প্রোগ্রাম ২০০৬ সাল থেকে দেশের অভিবাসন ও মানব পাচারপ্রবণ জেলাসমূহে বিদেশগামী নারী ও পুরুষের মাঝে সঠিক তথ্যের মাধ্যমে নিরাপদ অভিবাসন বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম, মানব পাচার প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম, বিদেশ-ফেরতদের পুনরেকত্রীকরণ, অভিবাসন খাতে অ্যাডভোকেসি ও নানাবিধ সহযোগিতামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট
