জাকির হোসেন মিঠু : ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে অঝোরে কাঁদলেন বাবা শেখ হেমায়েতউদ্দিন। তিনি বলেন এক বছর পার হয়ে গেছে। গ্রেফতার হওয়া দুই আসামি জামিনে বাড়ি ফিরেছে। অথচ আমি বিচার পেলাম না আজও।
সোমবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে খুলনার ফুলবাড়ি গেটের বাসিন্দা বাবা শেখ হেমায়েত উদ্দিন বলেন ২০২০ সালের ২১ জানুয়ারি তার ছেলে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের ম্যানেজমেন্টের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাসুল আহমেদ জিম অপহৃত হয়। এর একদিন পর পুলিশ সাতক্ষীরা শহরের চালতেতলা বাগান বাড়ির লিটনের বাড়ির প্রাচীর ঘেরা উঠোনে মাটি চাপা দেওয়া লাশটি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় গ্রেফতার হয় আমার ছেলের এক সময়ের সহপাঠী জাহিদ হাসান ও তার স্ত্রী শাম্মী আক্তার টুনি। জাহিদ ও তার স্ত্রী টুনি প্রথমে পুলিশ ও পরে আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে হত্যার দায় স্বীকার করে। পুলিশ এ মামলায় চার্জশীট দেয়
হেমায়েত উদ্দিন আরও জানান এ ঘটনার পর গত ৩ জানুয়ারি জাহিদ ও তার স্ত্রী জামিন নিয়ে বাড়ি ফিরেছে। তারা এখন এই মামলা প্রত্যাহারের ধুয়া তুলে আমার পরিবারকে নানাভাবে হুমকিধামকি দিচ্ছে। ‘মোটর সাইকেলে জাহিদসহ কয়েক যুবক এসে মামলা না তুললে আমার পরিবারে আরও ক্ষতি হবে বলেও শাসিয়েছে । হুমকি দিয়ে জাহিদ আরও বলেছে একটি মার্ডারে যা , দুটি মার্ডারেও একই সাজা হবে। দুই লাখ টাকা দিয়ে জামিন নিয়েছি’। তিনি বলেন এখন নতুন করে শুনতে পাচ্ছি এ মামলা নাকি ফের তদন্ত হবে। তিনি বলেন এ সংক্রান্ত দুটি মামলার একটির বাদি পুলিশ, অপরটির বাদি আমি নিজেই।
তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ জানান মামলাটি কি অবস্থায় রয়েছে তা নথি পত্র না দেখে বলা সম্ভব নয়। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন শেখ হেমায়েতের ভাই মো. শাহাবুদ্দিন, জুয়েল, শ^শুর এমআই সিদ্দিক, কামরুল ইসলাম প্রমূখ
২২.০৩.২১