ডেস্ক রিপোর্ট :মোদিবিরোধী বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম এলাকায় সাধারণ মুসল্লি ও ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে। আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পরই এই সংঘর্ষ বাধে। জুমার নামাজের মোনাজাত শেষে মুসল্লিদের একাংশ মোদিবিরোধী বিক্ষোভ শুরু করে।
স্লোগান দেওয়ার খানিক পরই ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা মসজিদের উত্তর পাশের ফটকে মিছিলকারীদের ওপর লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালান। প্রায় পাঁচ মিনিট ধরে তাঁরা মিছিলকারীদের মারধর করেন। এতে বিক্ষোভকারীরা পিছু হটে মসজিদের ভেতরে ঢুকে পড়েন। এর খানিক পরই বিক্ষোভকারীরা আবার সংগঠিত হয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের ওপর পাল্টা হামলা চালান। এ সময় প্রায় ১০ মিনিট ধরে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলতে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশ মসজিদের দিকে কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ ফাঁকা গুলিও ছোড়ে।
বায়তুল মোকাররমে মোদিবিরোধী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ। আজ দুপুরে জুমার নামাজের পর
বায়তুল মোকাররমে মোদিবিরোধী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ।
বেলা সোয়া দুইটায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলছিল। পুরো এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
এর আগে জুমার নামাজ শুরু হওয়ার আগ থেকেই মসজিদে ক্ষমতাসীন দলের বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী অবস্থান নেন। কিছু নেতা–কর্মী মসজিদের চারপাশের সড়কে দাঁড়িয়ে ছিলেন। পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি র্যাব সদস্যরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
বায়তুল মোকাররমে মোদিবিরোধী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ। আজ দুপুরে জুমার নামাজের পর
বায়তুল মোকাররমে মোদিবিরোধী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, জুমার নামাজ শেষে কেউ বিক্ষোভ মিছিল বের করলে তাদের দমন করা হবে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ পাশের ফটকের অংশে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের দল যুব অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।