নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কালিগঞ্জে মিথ্যা মামলার দায় হতে অব্যাহতি এবং তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন কালিগঞ্জ উপজেলার পূর্ব নারায়নপুর গ্রামের মৃত ইমান আলীর পুত্র আব্দুল জব্বার। তিনি বলেন, আমি পেশায় একজন মটরসাইকেল চালক এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ইট, বালু, খোয়া সরবরাহকারী। আমি ৫ সন্তানের জনক। ৩ পুত্র ও ২ কন্যা। সন্তানদের সকলে বিবাহিত হওয়ায় আমার বসতভিটা ভাগ বাটোয়ারা করে দেয়। এরপর তাদের সাথে মনোমানিল্য হওয়ায় আমার পাশ^বর্তী গ্রাম কালিগঞ্জের কাকশিয়ালীতে ৭৫ বছর বয়সী বাকপ্রতিবন্ধী এক মহিলার বাসা ভাড়া নেয়। তার দুই পুত্র সন্তান মারা যাওয়ায় বাক প্রতিবন্ধী নসু বিবির পক্ষে তার ৪ কন্যা আমাকে বাসাটি মাসিক ৯শত টাকা চুক্তিতে ভাড়া দেয়। গত ২০ মার্চ‘২১ তারিখে প্রতিবন্ধীর নসু বিবি’র পোতা শরিফুল ও আরিফুল আমাকে ঘর ছাড়িবার জন্য বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। গত ১এপ্রিল২০২১ তারিখে নসু বিবি বাড়িতে আসলে আরিফুল এবং তারা মাতা রহিমা বাক প্রতিবন্ধী নসু বিবিকে বাড়ি হতে গলা ধাক্কা দিয়ে বাইরে বের করে দেয়। ওই দিনই সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কালিগঞ্জ বাস টার্মিনাল হিরার টায়ারের দোকানে অবস্থান করাকালিন এস আই জিয়ারত আলী আমাকে বলে ওসি সাহেব তোকে ডাকে আমি তার সাথে থানা যাই। বিষয়টি আমি লিটন ভাইকে মোবাইলে জানাই। লিটন ভাই থানায় আসে আমাকে ছাড়াতে থানা আসলে লিটন ভাইকেও থানা হাজতে আটকে রাখে। পরবর্তী ২/৪/২০২১ তারিখে কালিগঞ্জ থানা মামলা নং ৬, জি আর ৯৯/২০২১, ধারা ১৪৩, ৪৪৭,৩২৩, ৩৮৫, ৩৫৪, ৩৮০,৪২৭, ৫০৬, ১১৪, দ- বিধি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করে। যা মামলার এজাহারের সাথে ঘটনার কোন মিল নেই। থানা গারদে আটকানোর পর এস আই জিয়ারত আমার কাছে জানতে চান আমার কত টাকা আছে তখন বলি আমি ভাড়াশিমলা ইউনিয়নে বর্তমান সরকারের একটি ক্লাব নির্মাণ বাবদ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল সাহেবের নিকট হিসাব আছে। হোটেল সাহিদার নিকট ৫২ হাজার টাকা, পশ্চিম নারায়নপুর গ্রামের শাহাদতের নিকট ১৫ হাজার, শওকত আলীর কাছে ৩০ হাজার, সুইপার মান্দারের নিকট ২৫ হাজারসহ অন্যান্য আরো লোকের কাছে আমার টাকা পাওনা আছে আর আমার একটি ডিসকভার মটর সাইকেল আছে। এসব শুনে এস আই জিয়ারত আমাকে বলে ওসি সাহেবের সাথে কথা হয়েছে তুই ১লক্ষ ২০ হাজার টাকা দিবি। ১লক্ষ ওসি ২০ হাজার আমি। আমি তাকে এক কথায় জবাব দেই আমি বাকপ্রতিবন্ধী ৭৫ বছর বয়সী মহিলার জমিতে ভাড়া থাকি আমি প্রয়োজনে সেখানে থাকবো না। দরকার হলে জেল খাটবো কিন্তু আমার কষ্ট করা একটি টাকাও আমি কাউকে দেবো না। এঘটনায় থানা আমাদের জেল হাজতে প্রেরণ করে। গত ১৪/৪/২০২১ তারিখ সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা কারাগার থেকে মুক্তি পাই। আমার ওই বাসায় নগদ টাকা আছে, আমার হাড়ি, পাতিল, খাটসহ ব্যবহারিক সব জিনিসপত্র আছে। আমি উপরোক্ত বিষয়ে সঠিক তদন্তপূর্বক মিথ্যা মামলার দায় হতে মুক্তিসহ ওসি দেলোয়ার হোসেন, এস আই জিয়ারতসহ মামলার বাদী আরিফুল ইসলামের তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে জননেত্রী শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি, ডিআইজি ও সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি। সাথে সাথে আমি যাতে আমার মালামাল ফেরত পাইতে পারি তার বিহীত ব্যবস্থা গ্রহণে কালিগঞ্জ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
পূর্ববর্তী পোস্ট