নিজস্ব প্রতিনিধি: বাঘটা দেখলাম দৌড়ে আসছে আমার দিকে, গাছের আড়ালে যেতে না যেতেই গুলির বেগে আমাকে মাটিতে ফেলে ঘাড়ে কামড় দেয়, ঘটনায় সবাই ভয়ে এদিক সেদিক দৌড়ে যায়, শুধু বাবা লাঠি হাতে এগিয়ে আসে। বাঘটাকে পিটাতে থাকে। বাঘ আমাকে ছেড়ে বাবাকেও মেরে ফেলতে পারতো। তবু বাবা শুধু লাঠি হাতে বাঘের সাথে লড়ে গেছেন। এক পর্যায়ে বাঘ আমাকে ছেড়ে হেঁটে চলে যায়।
জানি না ঐ বয়সে বাবা একা কিভাবে আমাকে কাঁধে তুলে জঙ্গল থেকে নৌকায় নিয়ে এলেন! তারপর সারা রাত নৌকা বেয়ে এবং পরে কোস্ট গার্ডদের সহায়তায় লোকালয়ে এসে চিকিৎসা পাই। গত ১৩ এপ্রিল মঙ্গলবার বাঘের আক্রমণের শিকার রবিউল এ সব কথা এ প্রতিবেদককে জানাচ্ছিলেন।
সাতক্ষীরার শ্যামনগরের উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের সোরা গ্রামের হালিম শেখের ছেলে মো. রবিউল ইসলাম (২০)। রবিউল শেখ। ২৫ বছর বয়স যুবক মৌয়ালের কাজ করে। বাঘের মুখ থেকে রবিউলকে ছাড়িয়ে আনেন তাঁর বাবা মো. হালিম শেখ (৫৫)। এরপর আহত রবিউলকে সারা রাত নৌকা বেয়ে ও পরে কোস্টগার্ডের স্পিডবোটে করে বুধবার সকালে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়।