আক্তারুল ইসলাম, সাতক্ষীরা:
সাতক্ষীরার তালায় কৃষিজমি জোরপূর্বক দখলে রেখে ঘের ব্যবসা করার অভিযোগ উঠেছে সাবেক জামায়াত নেতা কেশবপুরের সুফলাকাটি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মজঞ্জরুল’র বিরুদ্ধে। প্রকৃত জমির মালিকরা ডিট করে না দিলেও প্রশাসনের যোগসাজসে জোর পূর্বক মৎস ঘের করার পায়তারা করছেন তিনি।
সরেজমিন পরিদর্শন গেলে তালার নওয়াপাড়া গ্রামের জমির মালিক সিরাজুল সরদার (৪২), আব্দুর রাজ্জাক (৪৪), নওয়াবালী (৫৫), বাবলু শেখ (৫৮), ডাক্তার নুর ইসলাম (৬৮), জাহাঙ্গীর মাষ্টার (৪৪), শেখ আয়ুব আলী (৫৫), আঃ হান্নান (৫৮), আঃ মান্নান (৪৭), আঃ লতিফ (৪০), আব্দুল মজিদ মুক্তি (৫৪), শেখ মশিয়ার রহমান (৬৬) ও শফিকুল মোড়ল (৫৮) জানান, নওয়াপাড়া বাগেরবিলের প্রায় ৫০০ বিঘা জমি ডিট করে নিয়ে মাছ চাষ করতেন কেশবপুরের কুখ্যাত রাজাকার শাখাওয়াত’র পুত্র সহীদ। কিন্তু জমির মালিকদের হারি দিতে ব্যার্থ হলে পূনঃরায় যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ডিট প্রত্যাহার করে নেন দাতারা। এসময় জমির মালিকদের হারি দেয়ার জন্য এই ঘেরের মাছ নাম মাত্র মূল্যে কিনে নেন এই মজœু চেয়ারম্যান। সে সূত্র ধরে জমির মালিকরা ডিট করে না দিলেও অবৈধ পন্থায় প্রাশাসনের সহায়তায় জোরপূর্বক ঘের করার পায়তারা করছেন তিনি।
তারা বলেন, এই ঘেরের মধ্য যাদের জমি আছে, প্রায় ৯৫ ভাগ জমির মালিক চাচ্ছেন এখানে ঘের না করে নিজেরাই চাষাবাদ করবেন। কিন্তু থানা পুলিশের সহায়তায় জোর করে সে আমাদের কৃষিকাজ করতে দিবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি এলাকার কিছু দালালদের হাত করে বিভিন্ন এলাকা থেকে গু-া বাহিনী ভাড়া করে এলাকায় এনে ভীড় জমাচ্ছেন। তারা এলাকায় বিভিন্ন মানুষের হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে জানা গেছে।
তারা আরও বলেন, ঘের এলাকায় এই গু-া বাহিনী মদ, গাজা, ফেন্সিডিল ও ইয়াবা খেয়ে বেড়ানোর কারণে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। ঘেরের এমন কোনো পাশ নেই, যে পাশে ফেন্সিডিলের বোতল পাওয়া যাবে না। এসকল গু-া বাহিনীর ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। তাদের বেপরোয়া চলাফেরার কারণে মহিলারাও আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। মাঝে মাঝে তাদের বিরুদ্ধে ইভটিজিং’র কথাও শোনা যাচ্ছে।
কৃষি জমি দখল করে জোর পূর্বক ঘের করতে আসলে যে কোনো মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হবে বলে তারা জানান। জমির মালিকদের সাফ জবাব, জীবন দেব তবু জমিতে ঘের করতে দেব না।
এ বিষয়ে মজঞ্জুল’র সাথে বারবার কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
পূর্ববর্তী পোস্ট