আহসান উল্লাহ বাবলু উপজেলা প্রতিনিধি :
আশাশুনিতে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের তাণ্ডবে নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে ২০ টি পয়েন্টে ওয়াপদা বেড়িবাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।এছাড়া অসংখ্য জায়গায় ভেরিবাঁধ ওভারফ্লো হয়ে ভেতরে পানি প্রবেশ করেছে। বুধবার সকাল থেকে নদীতে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব পড়তে থাকে। সকাল ১০ টার দিকে কুড়িকাহনিয়া লঞ্চঘাটের দক্ষিণ পাশে খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধ ওভারফ্লো হয়ে ভেতরে পানি প্রবেশ করে। কিছুসময়ের মধ্যেই সেখানে বেড়িবাঁধ ভেঙে এলাকা প্লাবিত হয়। এছাড়া প্ররতাপ নগর ইউনিয়নে হরিখালী, চাকলা,নাকনা, কল্যাণপুর, রুয়েল বিল, আনুলিয়া ইউনিয়নের একসরা সহ ৬টি পয়েন্ট বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে এবং নদীর পানি বিভিন্ন জায়গা ওভারফ্লো হয়ে কুড়িকাহুনিয়া, চাকলা,সুভদ্রকাটি, রুয়ের বিল, হরিশ খালি, সোনাতনকাটি, নাকনা গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া আশাশুনি সদর ইউনিয়নের বলাবারীয়া, মানিকখালী, বড়দল ইউনিয়নের গেয়ারগাতি, নড়েরাবাদ, বামন ডাঙ্গা শ্রীউলা ইউনিয়নের হাজরাখালি,খাজরা ইউনিয়নের গদাইপুর সহ অনেক স্থানে ভেড়িবাঁধ ভেঙ্গে ও বেড়িবাঁধ ওভারফ্লো হয়ে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছে রাতের জোয়ারে খোলপেটুয়া নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে ছাপিয়ে আবারও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হতে পারে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দূর্গত এলাকা পরিদর্শনকালে
আশাশুনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মোস্তাকিম বলেন সুপার সাইক্লোন ইয়াস এর প্রভাবে আশাশুনি উপজেলার অধিকাংশ ইউনিয়নের ওয়াপদা বেড়িবাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।আমি সরেজমিনে সেসকল ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় উপস্থিত হয়ে নিজস্ব অর্থায়নে ও ওয়াপদার সহযোগিতায় এলাকার মানুষকে সাথে নিয়ে বাঁধ মেরামতের কাজ অব্যাহত রেখেছি। তিনি এ দুর্যোগকালীন সময়ে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
আশাশুনি উপজেলা নির্বাহি অফিসার মোঃ নাজমুল হুসেইন খাঁন বলেন বেশ কিছু পয়েন্টে ভেড়িবাঁধ ভেঙে এবং ওভারফ্লো হয়ে অনেক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। আমরা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কাজ করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে সে সব স্থানগুলো সংস্কার করা হবে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদের কে বাঁধগুলো মেরামতের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্লাবিত মানুষদের খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তা (এসও) আলমগীর হোসেন জানান কুড়িকাহনিয়া,চাকলা, রুয়ের বিল কয়েকটি স্থানে ভেড়িবাঁধ ভেঙ্গে ও ওভারফ্লো হয়ে বেশকিছু গ্রাম প্লাবিত হয়েছে আমরা দ্রুত সময়ে সেগুলো সংস্কারের কাজ করছি।
এছাড়া জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ভাঙ্গনকবলিত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তানজিরুল ইসলাম। এসময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন জেলা প্রশাসকের সার্ভিস দিকনির্দেশনায় আশাশুনি উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত ওয়াপদা বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও প্লাবিত মানুষের খাদ্য সরবরাহের ব্যবস্থা করা হবে।
পূর্ববর্তী পোস্ট