সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য প্রবীণ রাজনীতিক বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে সাতক্ষীরা জেলা জাসদ।
বিবৃতিতে জেলা জাসদের নেতৃবৃদ গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন, মুনসুর আহমেদ একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অন্যতম সংগঠক ছিলেন। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একজন দক্ষ কর্মীকে হারাল এবং দেশ একজন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদকে হারাল। রাজনৈতিক অঙ্গণে তার এ অভাব কখনও পূরণ হওয়ার নয়। তার মৃত্যুতে আমরা গভীর শোক প্রকাশ করছি।
বিবৃতি দাতারা হলেন সাতক্ষীরা জেলা জাসদের সভাপতি শেখ ওবায়েদুস সুলতান বাবলু, সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রিয়াজ, সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন লস্কর শেলী, সাংগঠনিক সম্পাদক আমির হোসেন খান চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক তৌহিদুর রহমান লস্কর, সমাজসেবা সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস বীনা, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক পাপিয়া আহমেদ, তালা উপজেলা জাসদের সভাপতি বিশ্বাস আবুল কাশেম, সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন, কলারোয়া উপজেলার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক, দেবহাটা উপজেলার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওহাব, আশাশুনি উপজেলার আহবায়ক মো. সুরাত উজ্জামান, সদস্য সচিব সাইদুল ইসলাম রুবেল, কালিগঞ্জ উপজেলা জাসদের সভাপতি শেখ মোদাচ্ছের হোসেন জান্টু, সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক, শ্যামনগর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এসএম কামরুজ্জামান, যুব জোটের সাধারণ সম্পাদক মিলন ঘোষাল, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ) সভাপতি অনুপম কুমার অনুপ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এসএম আবদুল আলীম প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, সোমবার রাত সোয়া ১১টায় রাজধানীর ঢাকার স্পেশালাইজড হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সাতক্ষীরার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। করোনা নেগেটিভ আসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ১২ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে সাতক্ষীরা স্টেডিয়াম থেকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়। সেখানে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।