অনলাইন ডেস্ক ঃ নিবন্ধন হারানো জামায়াতে ইসলামী কারও কারও বিবেচনায় কর্মী-সমর্থক সংখ্যার দিক থেকে এ দেশের বড় দলগুলোর অন্যতম। তবে বেশ কয়েক বছর ধরে প্রকাশ্যে দলটির রাজনৈতিক তৎপরতা নেই বললেই চলে। নিবন্ধিত ১০টি ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলের মধ্যে ইসলামী আন্দোলন বাদে অন্যগুলোও নীরব। সহিংসতার মামলায় হেফাজতে ইসলাম চাপে পড়ার পর সংগঠনটির সংশ্নিষ্ট কওমিধারার দলগুলো ‘আত্মরক্ষামূলক’ অবস্থান নিয়েছে। এর মধ্যে দুটি দল বিএনপি জোট ছেড়েছে। সরকারের সমর্থক হিসেবে পরিচিত সুফিবাদী ও মাজারভিত্তিক দলগুলোর কার্যক্রম দিবস এবং ওরসে সীমাবদ্ধ।
বাংলাদেশের ধর্মভিত্তিক দলগুলো তিন ঘরানায় বিভক্ত। প্রথম ধারা মাওলানা আবুল আলা মওদুদীর অনুসারী জামায়াত। যুদ্ধাপরাধের মামলায় শীর্ষস্থানীয় নেতাদের ফাঁসি এবং সহিংসতার মামলায় দলের কেন্দ্রীয় থেকে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা মামলার আসামি হওয়ার পর প্রকাশ্য রাজনীতিতে নেই দলটি। বিএনপির সঙ্গে জোটে আছে কি নেই- তাও স্পষ্ট নয়।
ধর্মভিত্তিক দলের দ্বিতীয় ধারা দেওবন্দের উসূলের অনুসারী। তাদের মধ্যে নিবন্ধিত ছয় দল ইসলামী আন্দোলন, ইসলামী ঐক্যজোট, খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম এবং খেলাফত মজলিস। শতাব্দী প্রাচীন জমিয়ত ছাড়া বাকি পাঁচ দলের উদ্ভব হাফেজ্জি হুজুরের প্রতিষ্ঠিত খেলাফত আন্দোলনের ভাঙনের মাধ্যমে। এই ছয় দল ছাড়াও অনেক অনিবন্ধিত দল রয়েছে, যারা দেওবন্দের অনুসারী মাদ্রাসাকেন্দ্রিক।
শেষ ধারাটি সুফিবাদী এবং মাজার-দরবারভিত্তিক। মাজার-দরবারভিত্তিক দুই নিবন্ধিত দল তরিকত ফেডারেশন এবং জাকের পার্টি। ধর্মভিত্তিক দলগুলোর মধ্যে একমাত্র তরিকতেরই সংসদে প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। দলটি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরিক। ফরিদপুরের বিশ্ব জাকের মঞ্জিলভিত্তিক দল জাকের পার্টি আওয়ামী লীগ জোটে না থাকলেও সরকারের সমর্থনে নিয়মিত বক্তব্য দেয়।
সুফিধারার দুই নিবন্ধিত দল ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের কার্যক্রম দিবসকেন্দ্রিক। এই দলগুলোও সরকারের সমর্থক হিসেবে পরিচিত।
যুদ্ধাপরাধ বিচারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সহিংসতার পর ২০১৫ সাল থেকে নীরব ছিল জামায়াত। একাদশ নির্বাচনে প্রকাশ্য কর্মসূচিও ছিল না তাদের। তবে বছরখানেক ধরে দলের নেতারা সক্রিয় হয়েছেন। বিভিন্ন জেলা সফর করছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। অঞ্চলভিত্তিক দলীয় সম্মেলন-সভা হচ্ছে। এর মধ্যে গত মাসে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, নায়েবে আমির আ ন ম শামসুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, হামিদুর রহমান আযাদসহ আট কেন্দ্রীয় নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন। এরপর দেশের বিভিন্ন স্থানে দলের নেতাকর্মীরা গ্রেপ্তার হয়েছেন।
জামায়াতের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম নির্বাহী পরিষদের সদস্য মতিউর রহমান আকন্দ বলেছেন, দলের স্বাভাবিক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। জামায়াত রাস্তায় নামলেই সরকার দমন-পীড়ন চালাচ্ছে, তাই মিছিল-সমাবেশের মতো কর্মসূচি নেই। কিন্তু জামায়াতের প্রতি মানুষের সমর্থন-সহানুভূতি বেড়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
বিএনপির সঙ্গে জোটে জামায়াত আছে কিনা- এ প্রশ্নে মতিউর রহমান বলেন, ২০ দল নির্বাচনী জোট। নির্বাচন নেই বলে সক্রিয় নয়। ভোটের সমীকরণের কারণে বিএনপি-জামায়াত জোট এখনও প্রয়োজনীয় ও প্রাসঙ্গিক। সম্প্রতি দুটি দলের জোট ত্যাগ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, এর জবাব দিতে পারবে বিএনপি। তারা জোটের নেতা। আর কেউ যদি বলেন, সরকারি চাপ জোট ছাড়ার কারণ- তা বলা বোধ হয় ঠিক নয়। কারণ জামায়াত তো সবচেয়ে বেশি চাপে রয়েছে। ১০ বছর ধরে কোথাও কার্যালয় খুলতে পারছে না। সংবিধান স্বীকৃত রাজনৈতিক অধিকার পাচ্ছে না। শতবাধার পরওজ জামায়াত জোট ছাড়েনি। ভবিষ্যতেও ছাড়বে না। জোট থাকবে কি থাকবে না, এ সিদ্ধান্ত বিএনপিকে নিতে হবে। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, জোট নিষ্ফ্ক্রিয়।
যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরুর পর থেকেই মুক্তিযুদ্ধকালীন ভূমিকা ঝেড়ে ফেলতে নতুন নামে, নতুন নেতৃত্বে দল গঠনের আলোচনা রয়েছে জামায়াতে। ২০১৯ সালে ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাকের পদত্যাগ এবং ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি মজিবর রহমান মঞ্জুর নেতৃত্বে পৃথক দল গঠনের উদ্যোগের পর জামায়াতের তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল চিঠি দিয়ে দলের শাখাগুলোকে জানিয়েছিলেন, নতুন নামে দল গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কমিটি হয়েছে। কিন্তু নতুন দল গঠনের তৎপরতা থেমে গেছে। মতিউর রহমান আকন্দ বলেছেন, একটি দল আরেকটি দল গঠন করতে পারে না। নতুন নামে দল গঠনের আলোচনা জামায়াতে নেই। কেউ বলে থাকলে তা তার ব্যক্তিগত মত।
দেওবন্দি ধারার নিবন্ধিত দলগুলোর মধ্যে খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম এবং খেলাফত মজলিস কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতের সঙ্গে সংশ্নিষ্ট। এ দলগুলোর নেতারা হেফাজতের শীর্ষস্থানীয় পদে ছিলেন। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অতিথি করার বিরোধিতা করে গত মার্চে রাস্তায় নামে হেফাজত। হরতাল-বিক্ষোভ-সহিংসতায় অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়। সহিংসতার মামলায় হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতাসহ ছয় শতাধিক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হন।
এ সময় গ্রেপ্তার হন জমিয়তের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব, মাওলানা মনির হোসাইন কাসেমী, অ্যাডভোকেট শাহীনুর পাশা চৌধুরীসহ অন্তত ৩০ জন কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতা। তারা হেফাজতেও পদে ছিলেন। খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরসহ দলটির অনেকে এখনও কারাগারে। মাওলানা মামুনুল হক খেলাফত মজলিসের যে অংশের মহাসচিব, সেটির অন্তত ৫০ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। মামুনুল হকসহ তাদের প্রায় সবাই এখনও কারাগারে। জমিয়ত নেতাদের মতো তারাও হেফাজতের বিভিন্ন পদে ছিলেন।
তাদের গ্রেপ্তার চলাকালেই হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। গত ৭ জুন গঠিত কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে জমিয়ত, দুই খেলাফতের নেতাদেরসহ রাজনৈতিক সংশ্নিষ্টদের প্রায় সবাইকে বাদ দেওয়া হয়েছে। হেফাজত নেতাদের ধরপাকড়ের পর সংগঠনটির প্রয়াত আমির জুনায়েদ বাবুনগরী, মহাসচিব নূরুল ইসলাম জিহাদীসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে একাধিকবার দেখা করেছেন। ‘সমঝোতা’র চেষ্টায় সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছেন।
হেফাজতের মতো গ্রেপ্তার মামলায় জমিয়ত এবং খেলাফতের উভয় অংশ চাপে রয়েছে। গত ১৪ জুলাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার কয়েক ঘণ্টা পর জমিয়ত নেতারা বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ছাড়ার ঘোষণা দেন। সাত মাস আগে গত বছরের ডিসেম্বরে জমিয়তের মহাসচিব আল্লামা নুর হোসাইন কাসেমীর মৃত্যুতে বিএনপির সমবেদনা না জানানোকে জোট ছাড়ার কারণ হিসেবে দেখান জমিয়ত নেতারা। এর আগেই জমিয়তের কেন্দ্রস্থল বারিধারা মাদ্রাসার নেতৃত্বেও পরিবর্তন এসেছে। সরকারের সমালোচকদের বাদ দেওয়া হয়েছে। চার বছর আগে জমিয়ত ভেঙেছে অভ্যন্তরীণ বিরোধে। অনিবন্ধিত অংশটি এখনও বিএনপি জোটে রয়েছে। এই দুই অংশকে একাদশ নির্বাচনে চারটি আসন ছেড়েছিল বিএনপি।
২০১৮ সালের পর বিএনপি তার অপর জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের পর ২০ দলকে আর গুরুত্ব দেয়নি। ভবিষ্যতে গুরুত্ব দেবে- এমন সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করছে জোট ত্যাগ করা দলগুলোর নেতারা। তাদের ভাষ্য, মামলার চাপের পাশাপাশি জোটে গুরুত্ব হারানোও বিএনপির সঙ্গ ত্যাগের অন্যতম কারণ। বিএনপি তাদের সম্মান দিচ্ছে না, তারা কেন বিরোধী জোটে থেকে মামলার ভার বইবেন?
জমিয়তের সহসভাপতি আব্দুর রব ইউসুফী জানিয়েছেন, তারা তাদের নিজস্ব কর্মসূচি ও সামর্থ্য নিয়ে রাজনীতিতে রয়েছেন। জোট স্থায়ী কোনো বিষয় নয়। রাজনীতিতে ইসলামী দলগুলোর ভবিষ্যৎ ও অস্তিত্ব টিকে থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে, তাতে একমাত্র ক্ষমতাসীন ছাড়া আর কারোই ভবিষ্যৎ নেই। তারা অতীতে যেভাবে ক্ষমতায় এসেছে, ভবিষ্যতেও সেভাবেই হয়তো আসবে। জমিয়তসহ অন্য ইসলামী দল কী করতে পারবে! তাই সবাই চুপই আছে। যারা কিছু বলছেন, তারাও অর্থবহ কিছু বলছেন না।
সবশেষ গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০ দল ছেড়েছে মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাকের নেতৃত্বাধীন খেলাফত মজলিস। কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে জোটের রাজনৈতিক তৎপরতাহীন অবস্থাকে। তারাও জমিয়তের মতো ২২ বছর বিএনপি জোটে ছিল। দলের কারাবন্দি মহাসচিবকে মুক্তির দাবি ছিল জোট ছাড়ার ঘোষণার সঙ্গে। দলটির ভাষ্য বিএনপি জোটে থাকার কারণেই তাদের মামলার বোঝা বইতে হচ্ছে। দলেরও এমন সামর্থ্য নেই যে, আন্দোলন করে গ্রেপ্তার নেতাকে মুক্ত করবেন। পর্যবেক্ষকদের ভাষ্যমতে, বিএনপি খালেদা জিয়াকেই মুক্ত করতে পারছে না, শরিক দলের নেতাদের জন্য আর কী করবে! একাদশ নির্বাচনে বিএনপির কাছ থেকে দুটি আসনে ছাড় পাওয়া খেলাফতের আমির মাওলানা ইসহাক বলেন, জোট সক্রিয় নয়। রাজনীতিও সেই অর্থে নেই। তাই জোট ত্যাগ করাই মঙ্গলজনক মনে করেছেন।
শায়খুল হাদিস আজিজুল হকের প্রতিষ্ঠিত খেলাফতের অপরাংশ বিএনপি জোট ছেড়েছে আরও ১৬ বছর আগে। পরে তারা আওয়ামী লীগের মহাজোটে যোগ দিয়েও বেরিয়ে যায়। একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টির সঙ্গে জোট করলেও তা বেশিদিন টেকেনি। হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক দলের মহাসচিব হওয়ার পর বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ, মোদির সফরে বিরোধিতা এবং নানা রকম বক্তব্য দিয়ে খেলাফতকে আলোচনায় এনেছিলেন। কিন্তু বিয়ে কেলেঙ্কারি, হেফাজতের কর্মসূচিতে সহিংসতাসহ নানা মামলায় কারাগারে যাওয়ার পর এ দলটি চাপে পড়ে। সবশেষ ১৯ জুলাই দলের অঘোষিত কেন্দ্রীয় কার্যালয় মোহাম্মদপুরের জামিয়া রহমানিয়া মাদ্রাসা হাতছাড়া হয় খেলাফতের। এ দলের নেতারা প্রায় সবাই এখন আত্মগোপনে। দলের আমির আল্লামা ইসমাইল নানুপুরীর বক্তব্যও জানতে পারেনি সমকাল।
হেফাজত-সংশ্নিষ্ট আরেক দল খেলাফত আন্দোলন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে নেই অনেক বছর। দলটি কোনো জোটে নেই। দলের আমির মাওলানা আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জি এখনও হেফাজতের নায়েবে আমির। সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে হেফাজতের একাধিক বৈঠকে তিনিও ছিলেন। কোনো কোনো রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকের বিবেচনায়, এ দলের সঙ্গেও সরকারের সমঝোতা রয়েছে। হেফাজতের মহাসচিব আল্লাম নুরুল ইসলাম জিহাদী বলেন, তারা অরাজনৈতিক সংগঠন। সেই চরিত্রই হেফাজত বজায় রাখবে। ধর্মসংক্রান্ত কোনো ইস্যু এলে কর্মসূচি দেবে। তবে এখনই কোনো কর্মসূচির চিন্তাভাবনা নেই।
পুরোনো ধর্মভিত্তিক দলগুলোর একটি ইসলামী ঐক্যজোট। নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত এ দলটি আসলে পাঁচটি দলের মোর্চা। ২০১৬ সালের ৭ জানুয়ারি দলটি বিএনপি জোট ছাড়ে। এরপর থেকে সরকারের সঙ্গে ‘সমঝোতামূলক’ সম্পর্ক রেখে চলেছে এ দল। হেফাজতের সঙ্গে টানাপোড়েনে ইসলামী ঐক্যজোটের অবস্থান ছিল সরকারের দিকে। একাদশ সংসদে কয়েকটি আসনে সরকারের ‘সহায়তা’ চেয়েছিল প্রয়াত মুফতি আমিনীর ইসলামী ঐক্যজোট। ইসলামী ঐক্যজোট নামে অনিবন্ধিত একটি দল এখনও বিএনপি জোটে রয়েছে। তবে কোনো অংশেরই দৃশ্যমান কর্মসূচি নেই।
ধর্মভিত্তিক দলগুলোর মধ্যে একমাত্র ব্যতিক্রম কোনো জোটে না থাকা চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন। গত এক দশক ধরে প্রায় বিনা বাধায় দেশজুড়ে সভা-সমাবেশ-গণসংযোগ করছে এ দল। সংসদ উপনির্বাচনগুলোতে অংশ না নিলেও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভোট করছে এ দল। নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভোটও পাচ্ছে।