নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঃ সাতক্ষীরা সদরের, ৯ নং ব্রম্মরাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে প্রচারণা চালাতে না দেওয়া, পোস্টার টানানোয় বাধা প্রদান, সমর্থকদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হুমকি ধামকি দেওয়ার অভিযোগ করেছেন একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী। তার অভিযোগ, আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও তার সমর্থকেরা তার প্রচার-প্রচারণায় বাধা দিচ্ছেন। মিথ্যা মামলা দিয়েও তার সমর্থকদের হয়রানি করা হচ্ছে।
সোমবার সকালে ব্রম্মরাজপুর ইউনিয়ন পরিষদে সংবাদ কর্মীদের সাথে এ অভিযোগ করেন আনারস প্রতিকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শহিদুল ইসলাম । তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। তার প্রতীক আনারস । ভোটগ্রহণ আগামী ১১ই নভেম্বর ।
সংবাদ কর্মীদের সাথে একান্ত সাক্ষাতে শহিদুল ইসলাম জানান , ইউনিয়নের ১,২,৩ ও ৯ নং ওয়ার্ডে ৪ টি কেন্দ্রে নৌকায় ওপেন ভোট মেরে নেবেন বলে ঐ ওয়ার্ডে যেয়ে আমার সমর্থকদের হুমকি দিচ্ছে নৌকার প্রার্থী আলাউদ্দিন ও তার সমর্থকেরা। তিনি জানান ৩১ শে অক্টোবর শিবতলা ও মাছখোলা এলাকায় আমার পোস্টার টানাতে গেলে আমার লোকদের পোস্টার টানাতে দেওয়া হয়নি। নৌকার সমর্থক বদুসহ অন্যান্যরা আমার লোকদের হাত কেটে নেওয়ার হুমকি প্রদান করে। ৩০ই অক্টোবর ব্রম্মরাজপুর বাজারে আমার সমর্থক নজরুলকে নৌকায় ভোট না দিলে কেন্দ্রে না যেতে হুমকি প্রদান করে আওয়ামীলীগ নেতা জব্বার। তিনি বৈকারী ইউনিয়ন নির্বাচনী পরবর্তী সময় মারামারী মালায় তার সমর্থক শিবতলা এলাকার আব্দুর রউফ ও সিদ্দিককে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করার অভিযোগ করেন। মো. শহিদুল ইসলাম সংবাদ কর্মীদের জানান, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা জনগন ভালো বাসে বলেই আমাকে ভোট দিয়ে ২০ / ২৫ বছর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনে সুযোগ দিয়েছে । দেশ স্বাধীন করেছি স্বাধীন ভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করার জন্য। তাদের হুমকি ধামকির কোন কাজ হবে না।
অভিযোগের বিষয়ে সোমবার নৌকার প্রার্থী আলাউদ্দিনের সাথে তার মোবাইলে ফোনে কল করা হলে , তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
৯ নং ব্রম্মরাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী নির্বাচন করছে। তার মধ্যে নৌকার প্রার্থী মো. আলাউদ্দিন, আনারস প্রতিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শহিদুল ইসলাম ও মোটর সাইকেল প্রতিকে মো. নুরুল ইসলাম।