সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে হুমকি, অপপ্রচার ও সহিংসতা বহির্ভুত নির্বাচনী প্রচারনা এবং শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে সাতক্সীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে উক্ত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন, উপজেলার মুকুন্দ মধুসুধনপুর গ্রামের আকবর আলীর ছেলে আনারস প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার পিতা বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে দু’ বার জননন্দিত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার দায়িত্বপালনকালিন সময়ে ইউনিয়নে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সমুন্নত ছিল। আগামি ২৮ নভেম্বর বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীক নিয়ে আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। সে অনুযায়ি নিবার্চন আচরনবিধি মেনে প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছি। এ ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন শেখ রিয়াজউদ্দিন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর গত পহেলা নভেম্বর আমার নির্বাচন কর্মী জয়পত্রকাটি গ্রামের মহিবুর রহমান, বন্দকাটি গ্রামের আব্দুল মজিদ গাজী, মুকুন্দপুরের মুজাহিদ গাইনসহ কয়েকজন শেখ রিয়াজউদ্দিনের নির্বাচন কর্মী ফিরোজ লস্কর, ফিরোজ গাজী, আলাউদ্দিন মোড়ল, হাফিজুর রহমান হাফিসহ কয়েকজনের হাতে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন। একইভাবে গত ১৭ নভেম্বর রাতে নির্বাচনী প্রচারনা শেষে বাড়ি ফেরার সময় হোগলা গ্রামের কালভার্টের পাশে আমার নির্বাচন কর্মী মনিরুজ্জামান মনি, মহিবুর রহমান, আফজাল হোসেনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। এ হামলায় অংশ নেয় ফিরোজ লস্কর, ফিরোজ গাজী, আলাউদ্দিন মোড়ল, মামুনুর রশীদ মিন্টু, উজ্জল দাসসহ নৌকা প্রতীকের পক্ষে অংশ নেওয়া আরো কয়েকজন। এ ছাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে আনারস প্রতীকের পোষ্টার ছেঁড়া ও ব্যানার খুলে নেওয়াসহ আমার কর্মী সমর্থকদের হুমকি ধামকি প্রতিপক্ষ প্রার্থীর নেতা কর্মীদের রুটিন মাফিক কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নির্বাচন প্রাক্কালে সহিংসতার উস্কানি প্রদান, নির্বাচনের দিন ভোট কেন্দ্র দখল, ভোট ডাকাতির পরিকল্পনাকে মাথায় রেখে কতিপয় চিহ্নিত সন্ত্রাসীকে ভাড়া করে ভোটের মাঠ দখলে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। আমার প্রতিপক্ষ প্রার্থীর বিরুদ্ধে তার দলীয় নেতাকে নিয়ে হিন্দুদের মঠে যেয়ে ভোট চাওয়ার অভিযোগে নির্বাচিন আচরন বিধি ভঙ্গের অভিযোগ স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিকে ছাপা হয়েছে। আপত্তিকর ও উস্কানিমূলক ভুতড়ে হ্যান্ডবিল ছাপিয়ে তা রাতের আঁধারে বিলি করে সাধারণ মানুষের মধ্যে উত্তেজনাকর, বিভ্রান্তিমূলক ও সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়ানোর চেষ্টা চলছে। সার্বিক ঘটনা আমি ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট রিটার্ণিং অফিসার, উপজেলা নির্বাচন অফিসার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, জেলা নির্বাচন অফিসারসহ শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছে লিখিতভাবে অবহিত করেছি। তাদের যথাযথ ভূমিকার কারণে আমি আজও নির্বাচনী মাঠে দাঁড়িয়ে রয়েছি।
তিনি আরো বলেন, আগামী ২৮ নভেম্বর নির্বাচনে আমার ইউনিয়নের নীলকণ্ঠপুর ফোরকানিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্র, চাঁচাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, মুকুন্দ মধুসুধনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, বন্দকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ও শ্রীধরকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ বলে আমি মনে করছি। এ সব জায়গায় আমার নির্বাচনী এজেন্টদের হয়তো বা ঢুকতে দেওয়া হবে না অথবা ভোট কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হবে এমনটি আশঙ্কা করছি। বিষয়টি জেলা নির্বাচন অফিসারকে লিখিতভাবে অবহিত করেছি। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন তৃনমূলের খেটে খাওয়া মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার একটি বড় গণতান্ত্রিক প্লাটফর্ম। সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি এ সময় নির্বাচন প্রাক্কালে সকল ধরনের হুমকি ধামকি ও সহিংসতা বন্ধ করে যাতে প্রশাসনের সহযোগিতায় আগামি ২৮ ফেব্রুয়ারি বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সকলের অংশগ্রহনে একটি শান্তিপূর্ণ ভোট অনুষ্ঠিত হয় সেজন্য তিনি নির্বাচন কমিশনার ও প্রশাসনের সকল স্থরের কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।##
২২.১১.২১