নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার শোভনালী ইউনিয়নের কামালকাটিতে বিজ্ঞ আদালতের ১৪৫ ধারা অমান্য করে সরকারী জায়গায় ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।
সাতক্ষীরা জেলা জার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশন এর তথ্যানুসন্ধানে জানা যায় ,৮ ই এপ্রিল সকালে আশাশুনির উপজেলার ১নং শোবনালী ইউনিয়নের কামালকাটিতে বীরেন্দ্রনাথ নামে এক ব্যক্তি ও তার দুই পুত্র রবীনাদ্রনাথ ও তুষার সরকারী জমিতে পাকা ঘর নির্মাণ করার দৃশ্য দেখা যায়। তারা সকাল থেকে রাজমিস্ত্রী ও কয়েকজন সহযোগী দিয়ে পাকা ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করে। কামালকাটি গ্রামের মৃত তারাপদ সরকারের ছেলে বীরেন্দ্রনাথ সরকার এর কাছে ঘর নির্মানের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন,এই জমির কোন কাগজপত্র আমাদের নেই, আমরা কাগজ পত্র যোগাড় করার ব্যবস্থা করছি। তিনি আরো বলেন এখানে আমাদের একটি কাঁচা ঘর ছিল। নদী খননের পর আমাদের ঘরটি ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। নদী খননের পর আমরা জায়গা ভরাট করে এখানে একটি পাকা ঘর নির্মাণ করছি । এ বিষয় ১নং শোবনালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,ইউনিয়ন পরিষদে এ বিষয়কে কেন্দ্র করে একটি অভিযোগ পেয়েছি। আমরা দুপক্ষকে হাজির হতে বলেছি।ঘর নিমাণের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, মিমাংসা না হওয়া পর্যন্ত কোন ঘর নিমাণের অনুমতি আমরা দিতে পারি না বলে তিনি জানান।
এ বিষয় ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য উদয় কান্তি বাঁছাড় এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি ঘর করতে বলেছি। যদি জমির মালিকের জমি পাওনা হয় তাহলে তাকে টাকা দিয়ে পরিশোধ করা হবে । ঘর করা বন্ধ থাকবে না বলে তিনি জানান।। তবে যেখানে গ্রাম্য আদালতে শালিস চলমান আছে সেখানে কিভাবে একজন ইউ পি সদস্য গ্রাম্য শালিস অমান্য করে ঘর নির্মাণ করতে বলেন তা সাধারন জনগনের বোধগম্য নয়।
এ বিষয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের রাব্বি হাসান এর কাছে মুঠোফোনে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি পরবর্তীতে আমি আইনগত ব্যবস্থা নেব। এ বিষয় মৃত কানাইলাল মন্ডলের পুত্র অনুকুল চন্দ্র মন্ডল বাদী হয়ে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে একটি পিটিশন মামলা করে যার মামলা নং ৬০৬/২২ ধারা ১৪৫ ফৌঃ কাঃ বি আদেশ-০১ তারিখ ০৭/০৪/২২ । কামালকাটি মৌজার ১০০২ ও ১০০৪ দাগে মোট জমির পরিমান ১৪ শতক। এ বিষয় আশাশুনি থানার এ এস আই রিয়াজউদ্দীন এ প্রতিবেদককে বলেন, আমি বিজ্ঞ আদালতের ১৪৫ ধারা হাতে পেয়ে ঘটনা স্থলে আসি এবং ঘর নির্মাণ বন্ধ করে দেই।