নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ
সাতক্ষীরা পশু হাসপাতাল সংলগ্ন ক্রয়কৃত ১২ শতক জমি জবর দখলের চেষ্টা চালানো অভিযোগ উঠেছে সন্ত্রাসী ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, এস এ খতিয়ান ৩২৩৩/১ এর সাবেক
১৪৫০৮দাগ ও হাল দাগ ১৬৯৪৭ দাগে ৫ শতক এবং ১৬৯৪৯ দাগে ৭ শতক সর্বমোট ১২ শতক জমি এস এ ও মাঠ জরিপের মালিক ওমর আলী সরদারের নিকট থেকে ২০১১ সালে ৪৯৯২ নং দলিলে কোবলামুলে খরিদ করে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলিপুর ইউনিয়নের আলিপুর গ্রামের মোঃ মেহের আলির দুই পুত্র মোঃ শাহিন হোসেন ও মোঃ ফারুক হোসেন। তারা জমি ক্রয়ের পর থেকে শান্তি পূর্ণ ভাবে ভোগ দখল করে আসছিল। হঠাৎ গত ২৪/৭/২০২২ তারিখ রাত আনুমানিক ৯টার দিকে পুর্ব শত্রুতার জেরে ইব্রাহিম পিং আব্দুল আহাদ মিস্ত্রি গ্রাম কামালনগর সাতক্ষীরা সদর সহ ৭ থেকে ৮ জন পশু হাসপাতালের সামনে বসে থাকা জমির মালিক শাহীন ও ফারুক ও তাদের চাচাতো ভাই ইব্রাহিমের উপরে ঝাপিয়ে পড়ে । দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাদের বেধড়ক মারপিট করে । যাওয়ার সময় হত্যার হুমকি দিয়ে যায় । এবিষয়ে ভুক্তভোগী শাহিন জানান, আমরা এই জমি ক্রয়ের পর ১২ শতক জমির উপর ১৮ টা দোকান করে নির্মান করে ভাড়া দেই। এই ইব্রাহিম ও আমার দোকানের একজন ভাড়াটে । সে সহ কয়েকজন ভাড়াটে সে সহ অন্য ভাড়াটেরা যথা সময়ে সঠিক ভাড়া দিয়ে আসছিল। ২০১৫ সালের আগ পর্যন্ত ভাড়া নিয়ে কারো সাথে কোন রকম সমস্যা হয়নি। হঠাৎ ২০১৫ সালের মাঝামাঝি এসে ইব্রাহিম সহ কয়েকজন ইব্রাহিমের নেতৃত্বে ভাড়া দেওয়া বন্ধ করে দেয়। ভাড়া না দিয়ে তারা জোর করে দোকান গুলো নিজেদের দখলে রাখে। আমরা এই কয় বছর বিভিন্ন ভাবে দখল দার দের দখল থেকে দোকান গুলো উদ্ধার করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি দোকান গুলো উদ্ধারের জন্য সাতক্ষীরা সদর থানায় দখলদার রবিউল ইসলাম, ইব্রাহিম, আমজাদ , ইমান আলী, মাহমুদ হোসেন, সুজন হোসেন ও মোসলেম আলি এদের বিরুদ্ধে দুইটি জিডি করি যার নং ৪০৬ ও ৪০৭। এই জিডির তদন্ত করে সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালতে সাতক্ষীরা থানায় এন জি আর ৬৬২২ ও এন জি আর ৬৭২২ দুটোতেই তারা দোষী প্রমাণিত হয়। তার পরেও তারা সম্পুর্ন গায়ের জোরে দোকান গুলো দখলে রাখে । পরবর্তীতে ২৮/০৩//২০২২ তারিখে বিজ্ঞ আমলী ১ নং আদালতে ঐ সাত জনসহ মোট আটজনের নামে মামলা করি। এই মামলাটা হওয়ার পর ইব্রাহিম হোসেন, পিং আহাদ আলী , বাবু লাল পিং মহাফেজ ও আমজাদ হোসেন পিং ওয়ালি হোসেন ছাড়া বাকি সকলেই সাবেক এমপি হাবিবুর রহমানের ছেলে মশিউর রহমানের নেতৃত্বে আপোষ মিমাংসা হয়ে দোকান ঘরের চুক্তি নামা করে নেয়। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে ২৪/৭/২০২২ তারিখ রাতে আমাদের উপরে এই হামলা চালায়। তাদের হামলার শিকার হয়ে আমরা ঐ রাতে সাতক্ষীরা সদর থানায় ইব্রাহিম হোসেনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৭ থেকে ৮ জন কে বিবাদী করে একটা লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।
অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, ইব্রাহিম এর নেতৃত্বে ৭ থেকে ৮ জন শাহীন ও ফারুক পিং মেহের আলি গাজী ও ইব্রাহিম পিং বাবর আলী গাজীর উপর দেশী অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে আতংকিত হামলা চালায়। এই হামলয় ফারুকের মাথা কেটে যায় । অন্যদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত ফোলা জখমের সৃষ্টি হয়েছে। ইব্রাহিমের এমন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রাণ ভয়ে দিন পার করছে ভুক্ত ভোগী শাহীন ও ফারুক । এই সন্ত্রাসী ইব্রাহিমে কে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করেছেন এলাকাবাসী।