মোঃ হারুন উর রশীদ, কালিগঞ্জ
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের তারালীতে কাজী আলাউদ্দীন ডিগ্রী কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অংশগ্রহনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকে বহিরাগত সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ও থানায় দায়েরকৃত আসামীদের দ্রুত আইনের আওতায় গ্রেফতারের দাবীতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন বুধবার ( ১০ আগষ্ট) বেলা ১১ টায় কলেজের সামনে রাস্তায় অনুষ্ঠিত হয়। কাজী আলাউদ্দীন ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক আব্দুল হামিদ এর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য তারালি ইউনিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি বর্ষিয়ান রাজনীতিবীদ আহম্মাদ আলী সরদার, কলেজের অধ্যক্ষ আরিফ বিল্ল্যাহ, কলেজের শিক্ষক প্রতিনিধি প্রভাসক সাজেদুল বারী, শিক্ষার্থী ফয়সাল আহম্মেদ (২য় বর্ষ), অনিক কুমার পাল (১ ম বর্ষ) ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ। এসময়ে বক্তাগন বলেন ফলাফলে যশোর শিক্ষা বোর্ডে বারবার মর্যাদার আসনে আসীন কাজী আলাউদ্দীন ডিগ্রী কলেজ। এই কলেজের ভাবমুর্তী ও অর্জিত সন্মান ক্ষুন্ন করতে উপজেলার জাফরপুর গ্রামের আব্দুল বারীর পুত্র আব্দুল্লাহ আল মামুন (২৭), হাবিবুর রহমানের পুত্র হাফিজুর (২২), বাবুল আক্তারের পুত্র তারেক (১৮), আব্দুল কুদ্দুস এর পুত্র ইসমাঈল হোসেন (২৩), মুর্শীদ আলীর পুত্র আশরাফুল ইসলাম (২০) ও রাজাপুর গ্রামের শামছুর রহমানের পুত্র হাফিজুর রহমান (২০) সহ কতিপয় বখাটে সন্ত্রাসী স্টাইলে গত সোমবার (৮ আগষ্ট) বেলা সাড়ে ১১ টায় পুর্ব পরিকল্পিত ভাবে বাঁশের লাঠি,সহ দলবদ্ধ হয়ে শিক্ষক কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের উপরে হামলা করে এবং তাদের হামলায় শিক্ষক শংকর বিশ্বাস(৪৮), শিক্ষক একেএম আরিফুজ্জামান (৪৬), ও শিক্ষার্থী অপু স্বর্ণকার (১৮) কে রক্তক্ত যখম করে ও কলেজের আসবাবপত্র ভাংচুর করে অর্ধলক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে। তাদের এধরনের সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ করতে গেলে তারা আস্ফলন করে হুমকী প্রদর্শন করে বলে সামনে আসলে সব লাশ করে দেবো, ছাত্র শিক্ষক বুঝিনা। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বক্তব্যে বলেন উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা ইতিপুর্বেও কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকে হামলা করেছিল, আবারও তারাই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। কলেজের অধ্যক্ষ বলেন গত ৮আগষ্ট যারাই হামলা করেছে ঐসকল বহিরাগতরাই রাতের আধারে একাধীকবার দরজা ও জানালাসহ কলেজের সম্পদ ভাংচুর করেছে। তাদের হীন আচারনের প্রতিবাদ করলে খুন, গুমসহ নানান হুমকী ধমকী দিয়ে থাকে।
মানববন্ধনে কাজী আলাউদ্দীন ডিগ্রী কলেজের সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী, ম্যানেজিং কমিটি ও অভিভাবকসহ সাধারন জনগন অংশগ্রহন করে উক্ত সন্ত্রাসীদের দ্রত আইন আমলে নিয়ে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ ও দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবী করেন।