খলিষখালী (পাটকেলঘাটা) প্রতিনিধি: তালা উপজেলার খলিষখালী ইউনিয়নের কৈখালী গ্রামের মহাদেব মন্ডলের পুত্র নারায়ন মন্ডল দীর্ঘদিন মহিলা সেজে কবিরাজের নাম করে ভন্ডামি করে সাধারণ মানুষের নিকট থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। শুধু এখানে শেষ নয়, এই কবিরাজ তার বসত ঘরের মাটির নিচে ৩ কক্ষ বিশিষ্ট গুপ্তঘর তৈরী করেছে। যা এলাকার কেউ জানে না।
এ দিকে মায়ের নামে পুজা দেওয়ার নাম করে তারই প্রতিবেশি স্কুল ছাত্রী স্বপন বিশ্বাসের কন্যা নবম শ্রেণির ছাত্রী সাথী রানী বিশ্বাস ও হারাধন মন্ডলের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী অন্তরা রানীকে পুজোর নাম করে ওই অন্ধকার গুপ্তঘরে প্রায় এক ঘন্টা আটকিয়ে রেখেছিল। ঘটনাটি ঘটেছে ৯ আগস্ট (মঙ্গলবার) বিকাল ৪টার সময়।
এদিকে ঘটনা জানাজানি হলে ওই গুপ্তঘর দেখার জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে নারী পুরুষ ভিড় করছে। খবর পেয়ে খলিষখালীর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ আজিজুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ বিষয়ে আটকিয়ে থাকা স্কুল ছাত্রী অন্তরা মন্ডল জানান, আমার ও সাথীকে পুজো করার নাম করে ওই কবিরাজ ও তার বোন পুজা মন্ডল গুপ্তঘরে প্রায় একঘন্টা আটকিয়ে রাখে।
তারা আরো জানান, আমাদেরকে একটি ঔষধ খাওয়ায়। যার কারণে আমরা দু’জন অচেতন হয়ে পড়ি। পরবর্তীতে কবিরাজের বোন আমাদেরকে বের করে আনে।
এ বিষয়ে ভন্ড কবিরাজ যুবক বর্তমান মহিলা সেজে আছে, তিনি জানান মায়ের আদেশে আমি এসব করছি। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গ্রামবাসী এক শালিষে বসে ছিল। বিষয়টি নিয়ে দু’কন্যার পিতা জানান, আমরা মামলা করব কিন্তু সাহস পাচিছ না।
এ ব্যাপরে পাটকেলঘাটা থানার ওসি কাঞ্চন রায় জানান, আমি খবর পেয়ে ওই দু’কন্যা ও তাদের পিতাকে থানায় অভিযোগ করার কথা বলেছি।