সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরার কলারোয়ায় সাবেক বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় অস্ত্র ও বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনের দু’টি মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামীলীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমানসহ দুই জন আরো সাক্ষ্য দিয়েছেন। রবিবার সাতক্ষীরার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক বিশ্বনাথ ম-লের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়। এনিয়ে এ মামলায় আজ পর্যন্ত ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন করেছে আদালত। আদালতের কাঠগড়ায় এ সময় বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৪০ জন আসামী উপস্থিতি ছিলেন।
সাক্ষীদাতা হলেন, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমান এবং সাংবাদিক ইয়ারব হোসেন।
সাতক্ষীরা আদালত সূত্রে জানা যায়, অস্ত্র ও বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনের দু’টি মামলায় কারাগারে থাকা ৪০ জন আসামীকে রবিবার সকাল ১০টায় জেলা কারাগার থেকে স্পেশাল টাইব্যুনাল-৩ এর কাঠগড়ায় হাজির করানো হয়। এ মামলার অপর নয়জন আসামী পলাতক রয়েছেন। ১০টা ১৫ মিনিটে এ মামলার কার্যক্রম শুরু হয়। এ সময় সাক্ষী হিসেবে উক্ত দুই জনকে হাজির করানো হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন, সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ, এ সময় তাকে সহায়তা করেন, অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল এস.এম মুনীর, সহকারী এটর্নি জেনারেল শাহীন মৃধা, অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. আব্দুল বারি, অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু প্রমুখ।
অপরদিকে, আসামীপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন, সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের আইনজীবি অ্যাড. আমিনুল ইসলাম, অ্যাড.শাহানারা আক্তার বকুল, অ্যাড. আব্দুল মজিদ (২), অ্যাড. সৈয়দ ইফতেখার আলী, অ্যাড. মিজানুর রহমান পিন্টু, অ্যাড. কামরুজ্জামান ভুট্টো প্রমুখ। আগামী ২৯ আগস্ট এ মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে
প্রসঙ্গত ঃ ২০০২ সালের ৩০ আগষ্ট সকাল ১০টায় তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে দেখতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে আসেন। সেখান থেকে যশোরে ফিরে যাওয়ার পথে সকাল ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা কলারোয়ায় দলীয় অফিসের সামনে একটি যাত্রীবাহি বাস (সাতক্ষীরা-জ-০৪-০০২৯) রাস্তার উপরে আড় করে দিয়ে তার গাড়ি বহরে হামলা চালায়। হামলায় আওয়ামী লীগের ১ ডজন নেতা-কর্মী আহত হন। এঘটনায় দায়ের করা হামলা মামলায় ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তালা-কলারোয়ার বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জন নেতা-কর্মীকে চার থেকে ১০ বছর মেয়াদে সাজা প্রদান করেন সাতক্ষীরার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবির। এর মধ্যে নয়জন আসামী পলাতক রয়েছেন ও একজন মারা গেছেন। গত ১৪ জুন অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনের অপর দুটি মামলায় চার্জ গঠন করা হয়।
পূর্ববর্তী পোস্ট