আক্তারুল ইসলাম সাতক্ষীরা
প্রতারণা করে বিয়ের পর জোর পূর্বক তালাকনামায় সহি করে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত সেনা সদস্যের নাম মেহেদী হোসেন অর্থী, তিনি যশোর জেলার মনিরামপুর থানার হাজরাকাটি গ্রামের রেজাউল ইসলামের পুত্র। আর প্রতারণার স্বীকার হয়েছেন সাতক্ষীরা শহরের লাবসা গ্রামের মোশারাফ হেসেন ও সাবিনা ইয়াসমিন দম্পতির মেয়ে নাজমা সুলতানা রিপা।
জানা গেছে, প্রতারক মেহেদী হোসেন অর্থী বর্তমানে ঢাকা সেনানীবাসে সেনা সদস্য হিসাবে কর্মরত আছেন। প্রতারনার স্বীকার নাজমা সুলতানা রিপা জানান, শহরের কামালনগর এলাকার জনৈক নজরুল ইসলাম জীবনের প্ররোচনায় পড়ে সরল বিশ্বাসে চলতি বছরের ২৭ মার্চ ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দেনমোহরে ইসলামি শরীয়াত মোতাবেক মেহেদী হোসেন অর্থীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিয়ের পর আমাকে নিয়ে যশোরের কেশবপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় ভাড়া বাড়িতে রাখে অর্থী এবং আমরা স্বামী-স্ত্রী হিসাবে ঘর-সংসার করতে থাকি। কিছু দিন যেতেই অর্থী আমার নিকট টাকা দাবি করে বিভিন্ন সময় মারধোর করে, এমনকি হত্যার হুমকি দেন। এক পর্যায়ে সড়যন্ত্রমূলকভাবে আমার বাবা ও মাকে একটা মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে জেলহাজতে পাঠান। রিপা আরও অভিযোগ করে বলেন, তার বাবা-মা জেলে থাকার সুযোগে গত ৮-৮-২২ তারিখ জনৈক নজরুল ইসলাম জীবন ও বিয়ের কাজী রওশন আলীর যোগসাজসে মেহেদী হোসেন অর্থী আমাকে শহরের অঞ্জাত স্থানে ডেকে নিয়ে মারপিঠ করে জোরপূর্বক তালাকে সহি করে নেন। এখন এই মেহেদী হোসেনসহ তার সহযোগীরা আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকী দিচ্ছে ও বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি জানতে পেরেছি এই নজরুলসহ তার সংঙ্গ-পঙ্গরা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আমাকে দিয়ে তালাক নামায় জোরপূর্বক সহি করিয়ে নিয়েছে। এরা এখন আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে ও বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য দিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে আমাদেরকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। আমিসহ আমার পরিবার এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমরা এই প্রতারকদের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের উদ্ধর্তন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। এব্যাপাকে অভিযুক্ত মেহেদী হোসেন অর্থীর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।