আবু সাঈদ সাতক্ষীরা : সামাল দেয়া যাচ্ছে না জিনিস পত্রের দামের উর্ধ্বগতি। বাজার এতটাই ‘গরম’-তবুও অজানা কারণে নিয়ন্ত্রণ সংস্থাগুলো মনে হচ্ছে শীতনিদ্রায়। বাজার নিয়ন্ত্রণে নেই কোনো বাস্তবমুখী উদ্যোগ। ফলে গভীর সংকটে হাবুডুবু খাচ্ছে নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা।
তবে বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, জিনিসপত্রের দামের লাটাই সরকার এখনই নিয়ন্ত্রণে না নিলে অসাধু ব্যবসায়ীরা ক্রেতার ওপর আরও চেপে বসতে পারে।
এদিকে ব্যবসায়ীরা মনে করেন জ্বালানি তেলের দাম এক লাফে বাড়ানো ঠিক হয়নি। ধাপে ধাপে দাম বাড়ালে বাজারে বড় প্রভাব পড়তো না। পরিবহন ভাড়া বাড়ার কারণে কিছু ব্যবসায়ীরা নিজের মতো করে পণ্যের দাম বাড়িয়েছেন।
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পর থেকে দ্রব্যমূল্য এমন ভাবে ছুটছে যেনো থামার নেই। এ সুযোগে ভোক্তার কাছ থেকে অসাধু ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামতো দাম নিচ্ছেন। প্রতিদিন বাড়ছে একের পর এক জিনিস পত্রের দাম। আয়ের সঙ্গে ব্যয় সামলাতে না পেরে মানুষ এখন দিশেহারা। নিদারুণ কষ্টে আছেন তারা। সংসার সামলাতে হাত পড়েছে সঞ্চয়ে।
সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ মাঝেমধ্যে লোক দেখানো অভিযান চালালেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। কর্তৃপক্ষের হুঁশিয়ারি কানেই নিচ্ছে না ব্যবসায়ীরা। মনিটরিং এবং সমন্বয়ের অভাবে সবকিছুর দাম পাগলা ঘোড়ার মতো বাড়ছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বাজারে দাম নিত্যর পণ্যের দাম বাড়াচ্ছে অসাধু চক্র। ফলে নিত্য পণ্য কিনতে গিয়ে জন সাধারণ উচ্চমূল্যের কারণে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আসছেন।আবুল খায়ের নামে এক ব্যাক্তি সাতক্ষীরার কদমতলা বাজারে এসেছে বাজার করতে তিনি এ প্রতিবেদক বলেন ৪ জনের সংসার আমার,আমি তিন শত টাকা মুজুরী হিসাবে শ্রমিক এর কাজ করি তাও আবার প্রতিদিন কাজ হয় না।চাল,ডাল,তেল, ঝালসহ তরিতরকারির যে দাম তাতে করে গরীব ও নিম্নমদ্ধম আয়ের মানুষ আজ দিশেহারা।
তবে বাজার নিয়ন্ত্রণ ও তদারকি সংস্থা বলছে, নজরদারির মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট