মোঃ আকবর হোসেন, তালাঃ
সাতক্ষীরার তালায় দুর্নীতির অভিযোগে খলিলনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান (রাজু) কে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে বিষয়টি আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে অভিযোগ করেছেন সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান রাজু ৷
ঘটনার বিবরনে আদেশে বলা হয়েছে, উপজেলার খলিলনগর ইউনিয়নের গঙ্গারামপুর গ্রামে একটি টিআর প্রকল্পের সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান রাজু ৷ প্রায় উনসত্তর হাজার ছয়শত আটষট্রি টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন বলে অভিযোগ উঠে । এনিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসি তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ পত্র জমা দেন। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক তদন্তে প্রাথমিকভাবে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান রাজুর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ে সুপারিশ করেন ৷ সেই প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ধারা ৩৪(১) অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান রাজুকে তার স্বীয় পদ হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো মর্মে আদেশ দেন।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখ স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আবু জাফর রিপন এ বরখাস্তের আদেশ প্রদান করেন
তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তারিফ-উল-হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তবে বিষয়টি নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান রাজু জানান, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে ৷ প্রকল্পটি ছিলো গঙ্গারামপুর ঈদগাহ ময়দানে মাটি ভরাট ও ইটের সলিং করা ৷ আর প্রকল্পের সভাপতি ছিলেন সংরক্ষিত আসনের ইউপি মেম্বর ঝরনা বেগম, তিনি স্বাক্ষর করে প্রকল্পের টাকা উত্তোলন করেছিলেন এবং সেই টাকা দিয়ে প্রকল্পের কাজ করেছেন ৷ সেই সময় প্রকল্পের কাজের মাষ্টার রোল পিআইও অফিসে জমা করেছিলেন ৷
এ বিষয়ে সংরক্ষিত আসনের ইউপি মেম্বর ঝরনা বেগম জানান, প্রথমে আমি প্রকল্পের বিষয়ে জানতাম না ৷ প্রকল্পটি ছিলো চেয়ারম্যান রাজু সাহেবের ৷ গঙ্গারামপুর হতে আমাকে ফোন দিয়ে টাকার কথা বলেন ৷ পরবর্তিতে আমি পিআইও অফিসে যায় এবং সীটে স্বাক্ষর করি ৷ সেই সময় তৎকালিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া আফরিনের সাক্ষাতে আমাকে টাকা প্রদান করা হয় ৷ প্রকল্পের টাকা আত্নসাত করা হয়নি ৷ সকল কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে ৷