নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরা পাটকেলঘাটা ভূমি কর্মকর্তা কে ২০ হাজার টাকা চাঁদা না দেয়ায় অবশেষে দুই ভাই জেলে।
সরোজমিনে জানা যায়, ২ নং নগরঘাটা ইউনিয়নের নগরঘাটা গ্রামের মৃত হযরত সরদারের পুত্র নজরুল ইসলাম ১৯ফ্রেব্রুয়ারী তার নিজস্ব রেকর্ডীয় জমির উপরে লাগানো দুটি মেহগনি গাছ ৬ হাজার টাকায় বিক্রয় করে। বেপারী গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার আনুমানিক ৩ ঘন্টা পর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার যোগসাজশে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি তালা ঘটনা স্থানে চলে আসে। নজরুল শহিদুলকে ভূমি অফিসে আলোচনার কথা বলে ডেকে নিয়ে যায়। তাদের সাথে কোন আলোচনা না করে এবং গাছ ২ দুইটি সরকারি সম্পত্তি থেকে কাটা হয়েছে কিনা তার কোন সঠিক তদন্ত না করে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা বাদী হয়ে তাদের নামে ৫০ হাজার টাকার সরকারি সম্পত্তি কর্তনের মামলা করে । ব্যাপারে একই এলাকার রমজান আলীর পুত্র নুরুল ইসলাম, নরেন্দ্রনাথ এর পুত্র দেবপাল, মৃণাল কান্তির পুত্র তাপস চক্রবর্তী, স্বরূপ ঢালির পুত্র আজিবর রহমান, আব্দুর রশিদের পুত্র রবিউল ইসলাম সহ স্থানীয় হিন্দু-মুসলিম নরনারী সবাই একযোগে বলেন, এই গাছটি তার নিজস্ব রেকডীয় সম্পত্তির উপর এবং ১০ থেকে ১২ বছর আগে তার পিতা মৃত হযরত সরদার গাছ দুটি তার সম্পত্তির উপর রোপণ করে। গত শুক্রবার আটটা থেকে বারোটা সময় এর মধ্যে বেপারী গাছ দুটি কর্তন করে নিয়ে যায়। স্থানীয়রা আরো জানান, এই জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার শ্যামল কুমার অধিকারীর সার্বিক সহযোগিতায় একাধিকবার এই জমির মাপ জরিপ হয়েছে। সরকারি সম্পত্তি সীমানা নির্ধারণ করে পাকা পিলিয়ার স্থাপন করা আছে। সরকারি সম্পত্তি পিলিয়ার ছাড়া নজরুল ইসলামের লাগানো গাছ আরো একটু ফুট দূরে থাকলেও শ্যামল কুমার অধিকারি হাত থেকে রক্ষা পেল না নজরুল ও তার ভাই শহিদুল। ভুক্তভোগী নজরুল ইসলামের স্ত্রী ইসমি তারা, শহিদুল ইসলামের স্ত্রী জান্নাতুল নেছা সাথী ও ইবাদুল এর স্ত্রী নাসরিন খাতুন এই প্রতিবেদককে কান্না বিজড়িত কণ্ঠে বলেন, গাছ কাটার জন্য ভূমি কর্মকর্তাকে অবহিত করলে ভূমি কর্মকর্তা উক্ত গাছ দুটি আমাদের কেটে নিতে বলেন।তার কথামত আমরা গাছ দুটি স্থানীয় বেপারীর কাছে ৬ হাজার টাকায় বিক্রয় করি। গত বৃহস্পতিবার ভূমি কর্মকর্তা আমাদের বাড়িতে এসে বলে গাছ কাটতে হলে আমাকে ২০ হাজার টাকা দিতে হবে তা না হলে গাছ বিক্রয় করতে পারবেন না। তখন আমাদের স্বামীরা তাকে বলেন আমাদের জায়গায় আমাদের লাগানো গাছ আমরা কর্তন করিব বা বিক্রয় করিব তাতে আপনাকে কেন টাকা দিব। এ কথা শুনার পর গাছ কর্তন করলে ব্যবস্থা করা হবে বলে চলে যান তিনি । গত শুক্রবার স্থানীয় ব্যাপারী বেলা ১২টার ভেতরে গাছ কর্তন করে নিয়ে যায় পরবর্তীতে আনুমানিক বেলা ৩ টার দিকে ভূমি কর্মকর্তার জোক সাজে সহকারী কমিশনার (ভূমি), তালা আমাদের স্বামীদের সাথে নিয়ে চলে যায় । অবশেষে জানতে পারি আমাদের স্বামীদের নামে পাটকেলঘাটা থানায় বাদী হয়ে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা শ্যামল কুমার অধিকারী মামলা দায়ের করেন । মামলা নং ১০। এ ব্যাপারে মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার জন্য প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল।