ডেস্ক রিপোর্ট ঃ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি অবস্থায় লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জনসম্মুখে এসে ক্ষমা চাইতে বলেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর তোপখানা রোডে শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের জাতীয় কাউন্সিলে মুশতাকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়ে জাফরুল্লাহ চৌধুরী আরও বলেন, এই সভা থেকে দাবি করছি- প্রধানমন্ত্রী জনসম্মুখে এসে তার পরিবারের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুক যে এটা ভুল হয়েছে, অন্যায় হয়েছে। তার (মুশতাক আহমেদ) পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দিয়ে অপরাধ দমন করা যায় না। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দিয়ে গলা বন্ধ করা যায় না। এই কালো আইনকে কবর দেওয়ার সময় এসেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে শুক্রবার বিকাল ৪টায় ছাত্র অধিকার পরিষদের আয়োজনে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে লেখক মুশতাকের গায়েবানা জানাজায় অংশ নিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, শুধু বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার করলে হবে না, এই হত্যার বিচার করতে হবে। এই হত্যায় যদি আপনি (শেখ হাসিনা) জড়িত থাকেন, আপনারও বিচার হতে হবে। প্রধানমন্ত্রী আপনি নিজেও বন্দি, তাই আপনি সত্যি কথা বলতে পারেন না। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে আটক হওয়া প্রত্যেকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেন। এই আইন বাতিল করুন। নইলে আপনাকেও এক দিন এই আইনের মারপ্যাঁচে পড়তে হবে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারের ভেতরেই মুশতাক হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে কারা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত ৮টা ২০ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মুশতাক নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার থানার ছোট বালাপুর এলাকার মো. আবদুর রাজ্জাকের ছেলে।
ঢাকা মেট্রোপলিটনের রমনা মডেল থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গত বছরের ৬ মে ঢাকা জেলে এবং পরে ২৪ আগস্ট থেকে তিনি কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন।