সাতক্ষীরা ট্রিবিউন ঃ
সাতক্ষীরায় চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় দুজনকে বেধড়ক মারপিটের অভিযোগ উঠেছে সাতক্ষীরা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে। এদিকে মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে সাতক্ষীরা-যশোর মহাসড়ক ঘন্টাব্যাপী অবরোধ করে রাখলে সেখানে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
রোববার(২৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা ২টা থেকে পলিটেকনিকের সামনে সাতক্ষীরা-যশোর মহাসড়ক অবরোধ করে রাখার পর পুলিশ ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এলাকাবাসীরা জানান, সাতক্ষীরা পলিটেকনিকের শেখ ফাহিম ফয়সাল নামের ২য় সেমিস্টারের এক ছাত্রকে ৪ দিন আগে(২২ ফেব্রুয়ারি) তুলে নিয়ে যান একই প্রতিষ্ঠানের ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ আবিদ হাসান ও তার সহযোগীরা। এরপর তাকে মারধর করে তার কাছ থেকে মোবাইল ও টাকাপয়সা ছিনিয়ে নেন তারা। এছাড়া ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় শাফায়াত আলী মুক্ত, ব্যাবসায়ী বাবু ও লাবসা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মনিরুল ইসলামকে লাঠিসোটা দিয়ে বেধড়ক মারপিট করেন কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি ও ২০-২৫ জন বহিরাগত সন্ত্রাসী। মারধর ও লুটপাটের পর বাবু নামের স্থানীয় ওই ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে আটকে রাখেন তারা। পরে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হেফাজতে নেয়।
মারপিটের শিকার শাফায়াত আলী মুক্ত ও মেম্বার মনিরুল ইসলাম জানান, ‘শুধু ফাহিম নয়, এই প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত বহিরাগত ছাত্রদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করে থাকে ছাত্রলীগ সভাপতি। প্রতিবাদ করলে হত্যার হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয় তাদের’।
তারা আরও জানান, ‘কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি ও তার সহযোগীরা স্থানীয় বিভিন্ন দোকান থেকে চা, সিগারেট খেয়ে বিল পরিশোধ করে না। এছাড়া দোকান থেকে জোর করে মালামাল নিয়ে চলে যান তারা। প্রতিবাদ করলে ‘‘পকেটে গাজা ঢুকিয়ে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি’’ দিয়ে থাকেন ওই কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি। তারা এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন’।
এ ব্যাপারে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আশিকুর রহমান জানান, ‘ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে কেউ এরকম অপকর্ম করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।
সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আবু জিহাদ মোঃ ফখরুল আলম খান জানান, ‘অপরাধীরা ইতিমধ্যেই চিহ্ণিত হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে। পুলিশ এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেবে’।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ আবিদ হাসানের সাথে মোবাইলে(০১৩০৩৩৩৭৬৭২) যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘তার ওপর কয়েকজন লোক হামলা করেছিলো। তারা তাকে মারধর করেছে এবং প্রাননাশের হুমকি দিয়েছে। তবে তিনি কাউকে আঘাত করেননি’।
পূর্ববর্তী পোস্ট