আহসান উল্লাহ বাবলু, উপজেলা প্রতিনিধিঃ বিধবা রহিমা বেগমের বয়স ৭০ বছর পার হয়ে গেছে। খাদ্য যোগাড় করার কারনে বাধ্য হয়ে তিনি ভিক্ষাবৃত্তি বেছে নিয়েছেন। বৃদ্ধ বয়সেও তিনি বিধবা বা বয়স্ক ভাতার কার্ড পাননি। আশাশুনি উপজেলার কুল্যা গ্রামের শাহাজী পাড়ার মৃত কচিমদ্দিন শাহাজীর স্ত্রী রহিমা বেগম জানান, ৩৮ বছর আগে আমার স্বামী মারা গেছে। ৪ মেয়ে ও ১ ছেলের সংসারে দারিদ্র্যতা আমার সঙ্গী ছিল। অন্যদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভিক্ষা করে ৪ মেয়ে ও ১ ছেলেকে বিয়ে দিয়েছি। কিন্তু বড় হওয়ার পর তারা নিজেদের নিয়েই ব্যস্ত। দেখার মতন আমার কাছে কেউ রইলনা। ছেলে সবুর শাহাজী বিয়ের পর থেকে ভোমরায় শ্বশুর বাড়িতে থাকে। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগে জর্জরিত আমি। প্রতিদিন মোটা অংকের টাকার ঔষধ সেবন করতে হয় আমার। কে দেবে খরচের টাকা? কিভাবে পেট ভরে খেতে পারব? জায়গা জমি বলে আমার কিছু নেই। মেয়ের একটু জায়গায় আমি বসবাস করি। অসুস্থ শরীর নিয়ে সব সময় অন্যের বাড়িতে ভিক্ষা করতে যেতে পারিনা। জানি বয়স বেশি হলে বয়স্ক ভাতার কার্ড হয়। বিধবা হলে বিধবা কার্ড হয়। দরিদ্র হলে ভিজিডি কার্ড হয়, আমি কি হলে কার্ড পাব ? আমি কার কাছে গেলে কার্ড পাব? মেম্বার, চেয়ারম্যান সবার কাছে গিয়েছি তবুও কার্ড পায়নি। সাংবাদিকদের বলে খবর করে সবাইকে জানাতে চাই। উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা প্রশাসকসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
পূর্ববর্তী পোস্ট