শেখ কামরুল ইসলাম :
আদালতের নির্দেশ অমান্য করে অন্যের জমিতে কাজ করে যাচ্ছেন শাহানার বেগম। তিনি সাতক্ষীরা পৌর এলাকার ইটাগাছা গ্রামের ই¯্রাফিল গাজীর স্ত্রী। শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) সকালে বাইপাস সড়ক সংলগ্ন চৌরাস্তার পাশে খড়িবিলা এলাকায় আদালতের নির্দেশ অমান্য করে জোরপূর্বক মাটি কাটার ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, পলাশপোল এলাকার মৃত নুর আহম্মদ খানের পুত্র শরিফুল ইসলাম খান পলাশপোল মৌজায় ১২৭৭৫/১৩০৭/ ৩৬৫৬/৩৬৫৯/১২৭৭১ দাগে ২একর ৮ শতক সম্পত্তি পৈত্রিক সূত্রে হয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করে আসছিলেন। কিন্তু আকস্মিকভাবে গত ১২ এপ্রিল ২০২১ তারিখে ইটাগাছা এলাকার ই¯্রাফিল গাজীর স্ত্রী শাহানারা বেগম অবৈধভাবে জোরপূর্বক উক্ত সম্পত্তি থেকে মাটি কেটে জমির অপর প্রান্ত ভরাট করতে থাকে। এর প্রতিবাদ করলে উক্ত শাহানারা বেগম মারপিট করতে উদ্যাত হয় এবং মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানিসহ ভাড়াটিয়া লোকজন দিয়ে খুন জখমসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে। এঘটনায় উপায়ন্তর হয়ে ভুক্তভোগী শরিফুল ইসলাম সাতক্ষীরা যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালতে দেওয়ানী কার্যবিধি আইনের ৫৯ অর্ডার রুলে একটি মামলা দায়ের করলে আদালত উক্ত নিষেধাজ্ঞা জারি পূর্বক শাহানারা বেগমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করে। কিন্তু উক্ত সুচতুর শাহানারা বেগম আদালতের নির্দেশ অমান্য করে সেখানে কাজ অব্যাহত রাখে। উপায়ন্তর হয়ে ভুক্তভোগী শরিফুল ইসলাম খান আইনগত সহায়তা চেয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি লিখিত আবেদন করলে থানার এস আই জাকির হোসেন সেখানে কাজ বন্ধ করে দেয়। কিন্তু পুলিশ চলে আসার পরও আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আবারো উল্লেখিত শাহানারা বেগম তার ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
ভুক্তভোগী শরিফুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের জানান, উক্ত শাহানারা বেগমকে উস্কানি দিয়ে এধরনের কার্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন মৃত. মনিরুল ইসলাম খানের ছেলে কবিরুল ইসলাম। আমি আদালতে একটি মামলাও দায়ের করেছি। কিন্তু শাহানারা খাতুন কিছুই মানে না। উক্ত সম্পত্তি নিয়ে সেখানে যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হতে পারে। তিনি এবিষয়ে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এদিকে শাহানারা খাতুন বলেন, আমি কবিরুল ইসলামের কাছ থেকে উক্ত জমি ক্রয় করেছি।
এবিষয়ে কবিরুল ইসলাম খানের সাথে যোগাযোগ করলেও তা সম্ভব হয়নি।