কলারোয়া প্রতিনিধি ঃ কলারোয়া সরকারি জিএকএমকে পাইলট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ ৪ শিক্ষক মারামারিতে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় লাঞ্চিতের শিকার প্রধান শিক্ষক আব্দুর রবের দায়েরকৃত অভিযোগটি থানায় মামলা হিসাবে রুজু করা হয়েছে। যার মামলা নং-২৭।
এ বিষয়টি নিয়ে উপজেলাবাসিসহ শিক্ষক সমাজ ও সুধিজনের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে।
সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্কুলের অফিস কক্ষে একই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক শিক্ষকসহ দুই সহকারী শিক্ষক এই মারপিটের ঘটনা ঘাটয়েছেন বলে অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে, ওই ঘটনায় থানায় পাল্টা আরেকটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
লাঞ্ছিত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রব সাংবাদিকদের জানান, তিনি সোমবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে তার অফিস কক্ষের তালা খুলতেই অতর্কিত ভাবে সহকারী প্রধান শিক্ষক আবদুর রকীব, সহকারী শিক্ষক মনিরুজ্জামান ও সহকারী শরীর চর্চা শিক্ষক মাহফুজা খাতুন তাকে কোন কারণ ছাড়াই অফিস কক্ষের মধ্যে ধরে নিয়ে সেখানে তারা তাকে বলেন যে, কেন ডিজির কাছে অভিযোগ দেয়া হয়েছে এবং সেই অভিযোগের কপি দেখতে চান তারা।
কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষের মধ্যে কিল, ঘুষি ও পায়ের জুতা দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে মারপিট করে আহত করে। এসময় তারা অফিস কক্ষের বিভিন্ন কাগজ পত্র ছিড়ে ফেলে বিনষ্ট করে। পরে খবর পেয়ে কলারোয়া থানায় পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ওই বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকরা এগিয়ে এসে আহত প্রধান শিক্ষক শিক্ষক আব্দুর রবকে উদ্ধার করে কলারোয়া সরকারি হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। বুধবার(২৪ ফেব্রুয়ারি) লাঞ্ছিত প্রধান শিক্ষকের পক্ষে অনান্য শিক্ষকরা এক সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন বলে জানা যায়।
এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক মনিরুজ্জামান জানান, প্রধান শিক্ষক টাকা-পয়সার হিসাব দেন না। হিসাব চাওয়ায় কথা কাটাকাটি হয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি সংবাদ সম্মেলন করেছেন বলে জানান। এ বিষয়ে কলারোয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জেল্লাল হোসেন বলেন, প্রধান শিক্ষক আব্দুর রব এর পক্ষে একটি মামলা হয়েছে। তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে, কলারোয়া থানার ডিউটি অফিসার ইস্রাফিল হোসেন বলেন, জিকেএমকে পাইলট হাইস্কুলের সহকারি শরীর চর্চা শিক্ষিকা মাহফুজা খাতুন একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
থানায় পাল্টা-পাল্টি অভিযোগ আর সহকর্মী শিক্ষকের হাতে প্রধান শিক্ষক লাঞ্ছিত হওয়ার বিষয়টি এখন কলারোয়ার সর্বত্র মুখরোচক আলোচনার খোরাক হয়ে দাড়িয়েছে।