ফিরোজ হোসেন, সাতক্ষীরা ঃ
কালিগঞ্জের পল্লীতে বোমা ফাটিয়ে ও অস্ত্র মহড়া দিয়ে ঘের লুট করার অভিযোগ উঠেছে । ঘটনাটি রবিবার (২০ নভেম্বর) দিবাগত ভোর রাতে উপজেলার প্রত্যন্তঞ্চল নলতা ইউনিয়নের ঝিয়ামারী গ্রামের সন্ন্যাসীচক নামক এলাকায় ঘটে। এ ঘটনায় সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার বরাবর ও কালিগঞ্জ অফিসার ইনচার্জ বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে ভুক্তভোগীরা। অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় ঝিয়ামারীর মৌজার সি এস ৩.৬.৭.৮.১০.১১.১৪. ১৪/১ এস এ ২,৩,৩/২, ২/৩,৪-৮,১০,২৭,৩০, খতিয়ানে ২,৩,৯,১১,১২,১৩ দাগসহ অন্যান্য দাগে প্রায় ৩০০শত বিঘা জমি পৈত্রিক সূত্রে ও কোর্টের ডিক্রি প্রাপ্ত হয়ে ৫২ টি পরিবার দীর্ঘ ২৫/৩০ বছর যাবত শান্তিপূর্নভাবে ভোগদখল করে আসছে। কিন্তু এই জমির উপরে কুনজর পড়ে এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু অমেদ আলী ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর। এই অমেদ আলী ও সন্ত্রাসী বাহিনী উক্ত সম্পত্তি দখল নিতে বার বার একই এলাকার ৫২ টি পরিবারের উপরে হামলা চালায় । জমির মালিকদের সকল কাগজ পত্র সঠিক থাকায় ব্যর্থ হয় তারা। ভুক্তভোগী ঘের মালিক মৃত পান্নার গাজীর পুত্র খাদেম আলী, কালু গাজী, রুহুল আমিনের পুত্র জামসেদ, মৃত আলা বক্সের পুত্র রশিদ ও পুবানের পুত্র মো. রুহুল আমিন জানান, অমেদ আলীর মৃতুর পর তার উত্তরসরী সামিউল বাহিনীর নেতৃত্বে একটি জাল কাগজ তৈরী করে আবারও আমাদের জমি দখলের পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে । তারই অংশ হিসেবে রবিবার ভোর রাতে সোলেমান হত্যা মামলার ১ নং আসামী আজহারুল ও সামি উল্লার নেতৃত্বে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী বোমা ফাটিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করে আমাদের ৩০ বিঘা ঘেরের প্রায় দুইলক্ষাধিক টাকার মাছ লুট করে নেই ও বাড়িঘর ভাংচুর করে। আমরা এর প্রতিবাদ করলে সন্ত্রাসী বাহিনীরা অস্ত্র উঠিয়ে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।কোন রকম পালিয়ে এসে ট্রিপোল নাইনে ফোন দিলে কালিগঞ্জ থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনেন। আমরা এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। উল্লেখ ২০১৭ সালের এই ঘেরকে কেন্দ্র করে ভূমি দস্যুরা সোলেমানকে হত্যা করে আমাদের উপর দোস চাপায়। আবারও সামি উল্লা ও আজহারুলের নেতৃত্বে পরিকল্পিতভাবে একটি হত্যার নাটক সাজিয়ে এই ঘের কব্জায় নিতে চাই। এই ঘটনায় উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি। এব্যাপারে অভিযুক্ত সামি উল্লা বলেন ক্রয় সূত্রে এই জমির মালিক আমরা, আমাদের সকল কাগজপত্র আছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট