ডেস্ক রিপোর্ট ঃ
ঝালকাঠির জেলার কাঁঠালিয়া উপজেলায় ঘরে একা পেয়ে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় একই থানার এসআই মো. আলমগীর হোসেনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ধর্ষণের পর ওই এসআইকে কুপিয়ে আহত করে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন ওই নারী।
শুক্রবার কাঁঠালিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এইচএম শাহীনের নেতৃত্বে পুলিশ শুক্রবার ঝালকাঠি জেলা শহরের শেখ রাসেল স্টেডিয়াম এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। সন্ধ্যায় তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতার হওয়া এসআই আলমগীর হোসেন কাঁঠালিয়া উপজেলার তাঁরাবুনিয়া তদন্ত কেন্দ্র কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি ভোলা জেলা সদরে।
বৃহস্পতিবার রাতে ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে এসআই আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে কাঁঠালিয়া থানায় ধর্ষণ মামলা করেন।
কাঁঠালিয়া থানার ওসি মো. মুরাদ আলী জানান, উপজেলার এক গ্রামের বাসিন্দা ওই নারী দুই পুত্র সন্তান নিয়ে বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন। তার স্বামী ব্যবসার সুবাদে চট্টগ্রামে থাকেন। ওই নারীর ভগিনীপতি পাশের গ্রামের বাসিন্দা এবং স্থানীয় বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। বোনের বাড়িতে যাওয়া আসার সময় তাঁরাবুনিয়া তদন্ত কেন্দ্রের এসআই আলমগীর হোসেনের সঙ্গে পরিচয় হয় ওই নারীর। গত ৩ এপ্রিল রাতে ওই নারীর বাড়িতে গিয়ে আলমগীর তাকে মারধরের পর ধর্ষণ করে।
ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, তাকে ঘরে একা পেয়ে ধর্ষণ করলে তিনি পুলিশ কর্মকর্তাকে কুপিয়ে আহত করে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন। খবর পেয়ে কাঁঠালিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই এসআই আলমগীর ওই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় কয়েকদিন বিভিন্ন চাপের কারণে পালিয়ে বেড়াতে হয়েছে আমাকে। মামলা নিতে টালবাহানা করেন ওসি। অবশেষে বৃহস্পতিবার রাতে থানায় আমাকে ডেকে নিয়ে মামলা লিপিবদ্ধ করে থানা পুলিশ।
কাঁঠালিয়া থানার ওসি মুরাদ আলী আরও বলেন, এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা হয়েছে। আসামি এসআই আলমগীর হোসেনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
জেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এএইচএম ইমরানুর রহমান এসআই আলমগীরকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এফ হোসেন / সাতক্ষীরা ট্রিবিউন। গৃহবধূকে ধর্ষণ করলো এস আই, মামলা নিতে গড়িমসি,অবশেষে সেই এসআইকে কারাগারে