ফিরোজ হোসেন, সাতক্ষীরা: নদীতে ভাটার সময় ঘূর্ণিঝড় রেমাল আঘাত হানায় বড় ধরনের বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেলেও আতঙ্ক কাটেনি উপকূলীয় জনপদে। বেড়িবাঁধ ভেঙে লবণাক্ত পানিতে জনপদ প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।সাতক্ষীরার উপকূলীয় উপজেলা শ্যামনগর ও আশাশুনিতে জোয়ারের পানিতে বেড়িবাঁধ উপচে এবং প্রবল বর্ষণে মৎস্যঘের প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে জেলে পল্লী। বিধ্বস্ত হয়েছে ১হাজার ৪৬৮ বাড়িঘর। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ২লাখ ২১ হাজার ১৭৬ মানুষ। এছাড়া ফসলের মাঠ, ঘের-পুকুর লোনা পানিতে ভেসে গেছে।
এ তথ্য জানিয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির।
জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের তথ্য বলছে, ঘূর্ণিঝড়ে জেলার ১হাজার ৪৬৮টি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ৪৩টি ইউনিয়নের মানুষ সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শ্যামনগর, আশাশুনি ও কালিগঞ্জ উপজেলার সঙ্গে সাতক্ষীরা শহরেও অসংখ্য গাছপালা উপড়ে পড়েছে। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ২লাখ ২১হাজার ১৭৬ মানুষ।
গাবুরা ইউনিয়নের নাপিতখালী এলাকায় আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পথে শওকাত মোড়ল নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। তিনি নাপিতখালী গ্রামের মৃত নরিম মোড়লের ছেলে।
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নজিবুল আলম বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। প্রাথমিকভাবে আমরা যে তথ্য পেয়েছি তাতে দেখা যাচ্ছে, শ্যামনগরের গাবুরা, পদ্মপুকুর, বুড়িগোয়ালিনী, আটুলিয়াসহ বারোটি ইউনিয়নে ৫৪১টি কাঁচা বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৯৩টি সম্পূর্ণ এবং ৪৪৮টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রবল জোয়ারে নদীর পানি ছাপিয়ে কোথাও কোথাও লোকালয়ে প্রবেশ করলেও বাঁধ ভাঙার খবর পাওয়া যায়নি। তবে গতকালের টানা বর্ষণে কিছু মাছের ঘের তলিয়ে গেছে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব টানা দুই দিন ধরে চলছে।
বিভিন্ন উপজেলায় মানুষের জানমালসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এ সকল ক্ষতির তালিকা নিরূপণ করে সহযোগিতা করা হবে।