প্রেস বিজ্ঞপ্তি:সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর এলাকায় চুরি সংক্রান্ত বিষয়ে ১৯ ডিসেম্বর যশোর থেকে প্রকাশিত সপ্তাহিক জনতার মিছিল সহ কয়েকটি স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় উক্ত সংবাদ প্রকাশ করে।বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে ঘটনার প্রায় ২ মাস অতিবাহিত হওয়ার পর উক্ত চক্রের সদস্যরা সপ্তাহিক জনতার মিছিলে প্রধান সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন সহ চার সাংবাদিকদের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাতক্ষীরা থানায় একটি এজাহার জমা দিয়েছেন
বক্কর ও মোতালেব নামে কতিপয় ব্যক্তি।বুধবার রাতে এ খবর সাংবাদিক মহলে ছড়িয়ে পড়লে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়।তারই ধারাবাহিকতায় সাতক্ষীরা সাংবাদিক সমিতি ও ভোমরা প্রেসক্লাবের আয়োজনে সাতক্ষীরা নিউ মার্কেট স.ম আলাউদ্দিন চত্তরে বৃহস্পতিবার ২০ জানুয়ারি দুপুর ১২টায়
চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন ইজাহারে তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সাতক্ষীরা সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আরিফুজ্জামান আপনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হুসাইনের সঞ্চলনায় বক্তব্য রাখেন দৈনিক মানব কন্ঠের জেলা প্রতিনিধি ও দৈনিক কালের চিত্রের বার্তা সম্পাদক মেহেদী আলী সুজয়,দৈনিক সকালের সময়ের জেলা প্রতিনিধি ও সাতক্ষীরা বার্তার সম্পাদক এস কে কামরুল ইসলাম,
আজকের বিজনেস বাংলাদেশ জেলা প্রতিনিধি জামাল উদ্দীন,
সাতক্ষীরা সাংবাদিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক সম্পাদক রমিজুল ইসলাম,সাংগঠনিক সম্পাদক ও জনতার মিছিলের প্রধান সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন,কার্যকরী সদস্য ও দৈনিক কালের চিত্রের ম্যানেজার গাজী হাবিব,দ্যুতি দিপন বিশ্বাস,ভোমরা রিপোর্টার ক্লাবের সভাপতি মাস্টার শফিকুল ইসলাম,
কদমতলা আঞ্চলিক প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম,
ভোমরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল ইসলাম,অর্থ সম্পাদক আব্দুল গফফার,
ভোমরা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি কবির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোতালেব হোসেন পলাশ,জনতার মিছিলের সহ সম্পাদক জাকির হোসেন জনি,জনতার মিছিলের ক্রাইম রিপোর্টার সিমা রানী প্রমুখ।বক্তরা বলেন ভোমরা স্থলবন্দর সংলগ্ন এলাকায় বক্কার ও মোতালেব নামীয় দুই ব্যাক্তি নিজেদেরকে বিভিন্ন নামে পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষকে
নানান কৌশলে হয়রানী করে। এক পর্যায়ে গত ১৮ ডিসেম্বের ভারতীয় লাগেজ ব্যবসায়ীরা দামী শাড়ী, চাদর ও দুধসহ বিভিন্ন পণ্য সামগ্রীভর্তি ৪ টি ব্যাগ নিয়ে ভোমরা যাত্রী ব্যাগেজ অফিসে প্রবেশ করে। ওই দিন সন্ধ্যায় কাষ্টমস কর্তৃপক্ষের অলক্ষ্যে ব্যাগ ৪টি নিয়ে দুই চোর পাঁচিল টপকে আকবার আলীর বাড়ীর পেছন দিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় আকবর আলীর ছেলে আবজাল বিষয়টি স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করে। পরে আবজালের দেয়া তথ্যে ও গোপন সূত্রে বিজিবি সদস্যরা ৩টি ব্যাগ উদ্ধার করলেও একটি ব্যাগ থেকে যায় চক্রের কাছে।পরে বক্কার ও মোতালেব প্রত্যক্ষ স্বাক্ষী আবজালের মুখ বন্ধ করার জন্য ২টি চাদর ও ২ প্যাকেট দুধ দেয়।পরে অন্যান্য মালামালের বিষয়ে ভোমরার
জাহাঙ্গীর মার্কেটে একটি শালিস হয়। সেখানে বক্কার ও মোতালেব চোরাই মালের বিষয়টি স্বীকার করে। সেসময় শালিসে উপস্থিত ছিলেন
স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তি।বক্তরা স্থলবন্দর নিরাপদে রাখতে উক্ত চক্রের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট