শহরে ডিবি’র এসআই মোস্তফার বিরুদ্ধে হয়রানি করার অভিযোগে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২১.১২.২০২১) সন্ধ্যায় পলাশপোল গুড়পুকুরের মোড়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেন দক্ষিণ পলাশপোল গ্রামের মৃত. বাবর আলী সরদারের ছেলে মোঃ খলিলুর রহমান। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রায় ১ বছর পূর্বে আমার পৈত্রিকসূত্রে প্রাপ্ত ৪ কাটা জমি বিক্রয়ের ঘোষণা করেছিলাম। এরপরে পূর্ব পলাশপোল গ্রামের জৈনক আজগর আলী আমার কাছ থেকে ওই জমির কাগজপত্রাদি দেখার জন্য নিয়েছিল। এবং মৌখিক চুক্তি হয়েছিল তিনি আমার জমি নিবেন। অথচ আমার জমি তিনি না নিয়ে বরং আমার নামে প্রায় ২ মাস পূর্বে সাতক্ষীরাস্থ ডিবি কার্যালয়ে একটি কাল্পনিক মনগড়া অভিযোগ করেন।
তিনি আরও বলেন, সাতক্ষীরা নিউ মার্কেট মোড়স্থ ‘সরদার অটো মবিল’ নামীয় আমার একটি নির্ভরযোগ্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ছিল। সেই সুবাদে সমাজের মানুষের কাছে আমার গ্রহণ যোগ্যতা সমধিক। তবে করোনা অতিমারীর সময়ে ব্যবসা মন্দা যাওয়ায় ও আর্থিক সংকটের কারণে আমার প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দিয়েছি। ওই সমেয় আর্থিক সংকট থেকে পরিত্রাণ পেতে আমার পৈত্রিকসূত্রে প্রাপ্ত পলাশপোল মৌজার সাবেক ২৫১৩৭ খতিয়ানের ১০০৫৯ ও ১৫৬৩৩ দাগের (বর্তমান ৫৩৫/১/৩ নম্বর খতিয়ানের ৫০৭৭ ও ৫০২২ দাগ) মধ্য থেকে ৪ কাটা জমি বিক্রয়ের ঘোষণা করেছিলাম। সেই ঘোষণাঅন্তে পূর্ব পলাশপোল গ্রামের জৈনক আজগর আলী আমার কাছ থেকে ওই জমির কাগজপত্রাদি দেখার জন্য নিয়েছিল। এবং মৌখিক ৭ লক্ষ টাকা চুক্তিতে তিনি আমার জমি নিবেন। অথচ মাসের পরে মাস চলে গেলেও তিনি আমাকে টাকাও দেয়নি; জমিও রেজিষ্ট্রি করে নেয়নি। এরপরে ওই জমি মধ্য কাটিয়া গ্রামের মোঃ কামরুজ্জামান এর ছেলে মোঃ মশিয়ার রহমানের কাছে বিক্রয় করেছিলাম। তা স্থানীয় মানুষের কাছে আজগর আলী জানতে পেরে আমার নামে সাতক্ষীরাস্থ ডিবি কার্যালয়ে একটি কাল্পনিক মনগড়া অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগে উল্লেখ ছিল ‘ আজগর আলী আমাকে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা দিয়েছে। তবে অভিযোগ পত্রের সাথে কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণাদি তিনি দেখাতে ব্যর্থ হয়েছিলা।’ অথচ বার বার সেই টাকা আমার কাছ থেকে আদায় করতে ডিবি কার্যালয়ের এসআই মোস্তফা হুমকি প্রদান করছেন। যা সুনির্দিষ্ট আইনের পরিপন্থী ও অবিবেচনা ফলসূত্রির বহিঃপ্রকাশ মাত্র।
খলিলুর বলেন, কয়েকমাস পূর্বে ওই ডিবি কর্মকর্তা আমাকে তার কার্যালয়ে ডেকেছিল। সেই সময়ে আজগর আলীও উপস্থিত ছিল। উভয়ের কাছ থেকে শুনে বুঝে এবং আজগার আলীর কোনো লেনদেনের প্রমাণাদি না থাকায় ওই কর্মকর্তা তাকে (আজগর আলী) কোর্টে মামলা করার নির্দেশ প্রদান করেন। এরপরে প্রায় দুই মাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও বিষয়টি নিয়ে কেউ আমাকে হয়রানি করেনি। কিন্তু ২১ ডিসেম্বর ২০২১ ইংরেজি তারিখ সকালে ওই ডিবি কর্মকর্তা ০১৭৯৩৮৬৪৭১১ নম্বর থেকে আমার ব্যবহৃত ০১৭১২৭৫২৫৭৬ নম্বরে ফোন করে আগামীকাল ২২ ডিসেম্বর ২০২১ ইংরেজি তারিখ সকাল ১০ টার মধ্যে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা নিয়ে ডিবি কার্যালয়ে যেতে বলেন। বিষয়টি নিয়ে আমি খুবই মর্মাহত ও চিন্তিত। এই ডিবি কর্মকতা মোস্তফা ও আজগর আলীর মনগড়া কাল্পনিক অভিযোগ ও হয়রানি থেকে পরিত্রাণ পেতে জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।