আবু সাঈদ, সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ২ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ ব্যবহারে শিক্ষকতার চাকুরী গ্রহনের বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ায় সাতক্ষীরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তর বিভাগীয় মামলা দায়ের করেছে। তালার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদে চাকুরী গ্রহন করা ২ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আপন দুই ভাই। বিভাগীয় মামলা সূত্রে জানাগেছে তালা উপজেলার ললিত মোহন সাহার দুই পুত্র সরুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বীরেন্দ্র নাথ সাহা ও আসাননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক প্রতাপ কুমার সাহা দুই সহোদর তাদের পিতা ললিত মোহন দাসের নামে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ইস্যুকৃত সাময়িক সনদ নং ১৪৮৬০ তারিখ ১৯/০৪/২০০৩ সনদটি ভূয়া এবং উক্ত সনদের বুনিয়াদে তারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার সুযোগ লাভ করে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ রুহুল আমীন স্বাক্ষরিত বিভাগীয় মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। যেহেতু ললিত মোহন সাহা এর সাময়িক সনদটি সঠিক নয় এবং তার অন্য কোন স্বীকৃত প্রমান না থাকায় তাকে প্রত্যায়ন না করায় প্রমানিত হয়, বিধায় প্রমান হয় অসত্য তথ্য প্রদান এবং ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ দাখিল করে নিয়োগ লাভ করা হয়েছে। উপরোক্ত কার্যকলাপ সরকারি কর্মচারী শৃংখলা ও আপীল বিধিমালা ২০১৮ ৩ (খ) ও ৩ (ঘ) উপবিধি অনুযায়ী অসদাচরণ ও দুর্নীতির আওতাভূক্ত অপরাধ। উল্লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি (শৃংখলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর ৩ (খ) ও ৩ (ঘ) উপবিধি অনুযায়ী অসদাচরণ ও দুর্ণীতি পরায়নের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হলো এবং উক্ত বিধিমালার ৪ (৩) (ঘ) উপবিধি অনুযায়ী কেন চাকরি হতে বরখাস্ত করা হবে না অভিযোগ নামা প্রাপ্তির ১০ (দশ) কার্যদিবসের মধ্যে তার সন্তোষজনক জবাব লিখিতভাবে জানানোর জন্য দুই সহোদরকে নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার। এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিন এ প্রতিবেদনকে বলেন বিভাগীয় মামলা হয়েছে। মামলা তদন্তের পর সহোদর দুই ভাইয়ের আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবং যেহেতু আমার স্বাক্ষরে তাদের নিয়োগ ও আমার স্বাক্ষরে তাদের চাকুরী চলে হবে।