স্টাফ রিপোর্টার: সাতক্ষীরার দেবহাটা সহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে দেশীয় বিলুপ্ত প্রজাতির পাখি এবং পাখি ধরার লোহার ফাঁদ, নাইলনের জাল ও বেশ কয়েকটি শিকারি পাখি জব্দ করেছে বন্যপ্রানী অপরাধ দমন ইউনিট।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত জেলার দেবহাটা উপজেলার বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত সংলগ্ন দক্ষিণ কোমরপুর এবং কালীগঞ্জ উপজেলার ফুলতলা, রতনপুর ও বাগমারি বিলে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া বন্যপ্রানী অপরাধ দমন ইউনিট (৯)’র ইন্সপেক্টর নার্গিস সুলতানা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শীতের শুরু থেকে দেবহাটা ও কালীগঞ্জ উপজেলার কিছু আর্ন্তজাতিক বন্যপ্রানী পাচারকারী চক্রের সদস্য বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্ত প্রজাতির পাখি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে পাচার করে আসছে এবং শিকারি পাখি ব্যবহার করে অবাধে লোহার ফাঁদ ও নাইলনের জাল দিয়ে পাখি শিকার করে আসছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানের শুরুতে দেবহাটার দক্ষিণ কোমরপুরের আর্ন্তজাতিক বন্যপ্রানী পাচারকারী চক্রের সদস্য আমিরুল ইসলাম ওরফে মধু ডাক্তারের বাড়ি থেকে ৬টি বিলুপ্ত প্রায় প্রজাতির কালিম, একটি ময়না ও একটি হাঁস পাখি জব্দ করা হয়। এঘটনায় তার বিরুদ্ধে বন্যপ্রানী সংরক্ষণ আইনে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। পরে কালীগঞ্জ উপজেলার ফুলতলা মোড়ে হবিবুর রহমানের মালিকানাধীন কালীগঞ্জ পাখি ঘর নামক একটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে ৬টি টিয়া পাখি জব্দ করা হয়। তাছাড়া রতনপুর বিল থেকে শতাধিক পাখি ধরার লোহার ফাঁদ ও কয়েকটি শিকারি পানকৌড়ি, গ্রেট ইগরেট ও ধুপনিবক এবং পার্শ্ববর্তী বাগমারি বিলের দশ বিঘা জমি থেকে অন্তত ৮’শ ফিট পাখি ধরার নাইলনের জাল উদ্ধার পরবর্তী জব্দ করা হয়।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে উদ্ধারকৃত পাখি গুলো অবমুক্ত করা হয়। দেশের প্রচলিত আইনানুযায়ি বন্যপ্রানী সংরক্ষণের পাশাপাশি চোরাশিকারি ও বন্যপ্রানী পাচারকারীদের দমনে সাতক্ষীরা সহ আশপাশের এলাকায় আগামীতেও এ অভিযান অব্যহত থাকবে বলে জানান বন্যপ্রানী অপরাধ দমন ইউনিটের ইন্সপেক্টর নার্গিস সুলতানা।