নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হামলার শিকার হয়েছেন ডা. মাহবুবুল ঈমাম। মঙ্গলবার বিকাল পৌনে তিনটার দিকে সখিপুরস্থ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে দায়িত্বরত অবস্থায় তার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এঘটনায় দেবহাটা থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার দুপুরের পর ধোপাডাঙ্গা গ্রামের হিসাব উদ্দীনের শিশুপুত্রকে সুন্নতে খৎনা করাতে পরিবারের ১৫/২০ সদস্যরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেসময়ে জরুরী বিভাগে দায়িত্বরত ছিলেন ডা. মাহবুবুল ঈমাম। যথারীতি শিশুটির সুন্নতে খৎনা শেষ হলে তাকে একটি বেডে বসিয়ে তার পরিবারের ১৫/২০ জন অপ্রয়োজনে জরুরী বিভাগেই ভিড় করে থাকে। ঠিক তখনই আরো দুটি মুমুর্ষ রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসে কমপক্ষে ২০/২৫ জন। ওই দুই মুমুর্ষ রোগীকে চিকিৎসা দিতে জরুরী বিভাগে পর্যাপ্ত জায়গা দরকার ছিল। সেজন্য অপ্রয়োজনে ভিড় করে থাকা শিশুর সাথে আসা পরিবারের ১৫/২০ জনকে জরুরী বিভাগের বাইরে গিয়ে বসার কথা বলেন ডা. মাহবুবুল ঈমাম। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে তারা। একপর্যায়ে উপস্থিত হাসপাতালের স্টাফ ও অন্যান্য রোগীর স্বজনদের কথামতো তারা শিশুটিকে নিয়ে বাড়ীতে যায়। তার কিছুক্ষনের মধ্যেই আবারো ধোপাডাঙ্গা গ্রামের মৃত আফাজউদ্দীনের ছেলে অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য রুহুল আমিন (৫৫) ও তার ভাই হাবিবুর রহমানের (৪৮) নেতৃত্বে ডজনখানের লোক নিয়ে হাসপাতালে ফিরে এসে অতর্কিত ডা. মাহবুবুল ঈমামের ওপর হামলা ও তাকে মারপিট করে লাঞ্চিত করে। খবর পেয়ে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌছানের আগেই সটকে পড়ে হামলাকারীরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. বিপ্লব মন্ডল বলেন, শিশুটির চিকিৎসা শেষ হলে অন্যান্য মুমুর্ষ রোগীদের সেবা দেয়ার সুবিধার্তে জরুরী বিভাগে ভিড় করে থাকা শিশুর স্বজনদের বাইরে বসতে বলেছিল ডা. মাহবুব। কিন্তু এমন সামান্য বিষয়ে তার ওপর সংঘবদ্ধ হামলার ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। এব্যাপারে হাসপাতালের পক্ষ থেকে আমরা আইনগত পদক্ষেপ নিব এবং প্রয়োজনে হামলাকারীদের শাস্তির দাবীতে চিকিৎসকরা আন্দোলনে নামবে বলেও জানান তিনি।
এব্যাপারে দেবহাটা থানার ওসি বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। হামলার শিকার চিকিৎসকের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পূর্ববর্তী পোস্ট