নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোমরা কাস্টমসের শুল্ক স্টেশনের কর্মকর্তাদের দ্বারা প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছে পাসপোর্ট যাত্রীরা। কাস্টমসের শুল্ক স্টেশনর তারই ধারাবাহিকতায় ২৭ জুলাই ২০২২ তারিখ আবার ও হয়রানির শিকার হলো ভারত থেকে বাংলাদেশে বাপের বাড়ি ছেলে ছেলের বউ এবং নাতি নিয়ে বেড়াতে আসা শামিমা নাইয়া। কাস্টমস শূল্ক স্টেশনে এসে পৌঁছালে ইন্সপেক্টর সুমী পালের উপস্থিতিতে সিপাহী নাজমুল তার কাছে টাকা চাইলে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করে। তখন সিপাহী নাজমুল আমিনুর, আজাদ ও সিপাহী আসিক তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে । শামিমা নাইয়া যার পাস্টপোট নং ২২৮৮৫৬ এর কাছে থাকা ব্যাগের মধ্যে মদ আছে কিনা জানতে চায়। মদ নাই উত্তর দিলে ও সিপাহী নাজমুল ব্যাগটা নিয়ে চেক করে । চেক করে কিছু না পেয়ে তাদের কে ছেড়ে দেয় । তারা রাস্তায় আসলে তাদের কে থামিয়ে ব্যাগ
চেকের নামে আবার ও কাস্টমসে ডাকে তারা পুনরায় যেতে না চাইলে ইন্সপেক্টর সুমা রানী পালের নির্দেশে সিপাহী নাজমুল ও সিপাহী আসিক তাদেরকে রাস্তা থেকে হাত ধরে টেনে নিয়ে যায়। দ্বিতীয় বার ব্যাগ গুলো চেক করার নামে জিনিস গুলো ছুড়ে ছুড়ে রাস্তায় ফেলে দেয়। এবং তাদের সাথে অকথ্য ভাষা ব্যবহার করে । এবং বলতে থাকে ভারত থেকে যারা আসে তারা অধিকাংশই মদ নিয়ে আসে তোরা মদ কোথায় রেখেছিস বল।
কাস্টমস শূল্ক স্টেশনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের তাদের সাথে এমন ব্যবহারের কারণে জানতে চাইলে ভুক্ত ভোগী শামীমা নাইয়ার এই প্রতিবেদককে জানান, কাস্টমসের শুল্ক স্টেশন আসা মাত্র উপস্থিত কর্মকর্তারা আমাদের কাছে টাকা দাবি করে। আমরা কোন টাকা দিতে পারবো না, কেন টাকা দেব এই নিয়ে বাকবিতন্ডা জড়িয়ে পড়ি। তারপরেই তারা আমার সাথে রীতিমতো জেরা শুরু করে। আমার ব্যাগে মদ আছে কিনা বার বার জানতে চায় । মদ নেই জানানোর শর্তে ও তারা আমার ব্যাগটা চেক করে। কাস্টমসের সব কার্যক্রম শেষ করে রাস্তায় চলে আসলে আমাদের আবার ও ডাক দেয় আমরা যেতে না চাইলে সিপাহী নাজমুল আমার হাত এবং সিপাহী আসিক আমার ছেলের বউয়ের হাত ধরে স্বজোরে টানতে টানতে কাস্টমসের মধ্যে নিয়ে নিয়ে গিয়ে আমার ব্যাগটা দ্বিতীয় বার চেক করার নামে ব্যাগে থাকা জিনিস গুলো ছুড়ে ছুড়ে মাটিতে ফেলে দেয় এবং আমাদের সাথে খারাপ ভাষা ব্যবহার করে। হাত ধরে টেনে নিয়ে যাওয়ার কারণে আমার ডান হাতটা ফুলে গেছে এবং যন্ত্রনা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, বৈধ ভাবে বাংলাদেশে বেড়াতে এসে কাস্টমসের শুল্ক বিভাগে দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষের দ্বারা এমন অমানবিক ব্যবহারের তীব্র নিন্দা জানাই সাথে সাথে এমন অমানবিক আচরণ কারিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। এ বিষয়ে আবুল কালাম আজাদ রাজস্ব কর্মকর্তা (প্রশাসনিক) এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, পাস্টপোর্ট যাত্রী হয়রানি বিষয় টি সত্য নয় । ভারত থেকে আসা মহিলা যাত্রীর কাছে থাকা ব্যাগটি চেক করতে চাইলে তিনি ব্যাগটি চেক করতে চাইলে চেক করতে দিবে না এই নিয়ে একটু কথা কাটাকাটি হয় পরে সেটা মিমাংসা হয়ে গেছে।