ডেস্ক রিপোর্ট ঃ এক মাস সিয়াম সাধনা শেষে এসেছে ঈদ। মুসলমানদের জন্য দিনটি বিশেষ। এই আনন্দের দিনেও ফিলিস্তিনের মানুষগুলোর মনে উচ্ছ্বাস নেই। রাতদিন শঙ্কা ভর করেছে তাদের মনে। কখন ইসরায়েলি বাহিনীর গুলি এসে বুক ঝাঁঝড়া করে দেয়। কখন আত্মাটা বেরিয়ে যায়।
ইসরায়েলি দখলদারদের অব্যাহত আগ্রাসনে গাজায় ১০৯ ফিলিস্তিনির প্রাণ গেছে। সেই নিপীড়িত মুসলমানদের ঈদের দিনে প্রার্থনা করেছে বিশ্ববাসী। বাংলাদেশে আজ ঈদের জামাতের পর মসজিদে মসজিদে দোয়া হয়েছে নিপীড়িত-নির্যাতিত সব মুসুল্লিদের হেফাজত কামনায়।
‘হে আল্লাহ্ তুমি ফিলিস্তিনসহ সারা পৃথিবীর মুসলমানদের হেফাজত কর। তাদের রক্ষা কর।’
ঈদের প্রথম জামাতে এভাবে আল্লাহর কাছে দুহাত তুলে আকুতি জানান বায়তুল মোকাররমের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান।
সকাল ৭ টা ২১মিনিটে শুরু হয় ঈদ জামাতের মোনাজাত। ১০ মিনিটব্যাপী চলা মোনাজাতে আল্লাহ্র কাছে দুহাত তুলে দোয়া করেন ছোট বড় সব বয়সী মুসল্লিরা।
মোনাজাতে মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান বাংলাদেশকে করোনামুক্ত করতে এবং সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার তৌফিক দিতে আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করেন।
এর আগে সকাল ৭টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জামাতটির মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন মসজিদের মুয়াজ্জিন হাফেজ ক্বারী কাজী মাসুদুর রহমান।
জাতীয় মসজিদ ছাড়াও দেশের মসজিদে মসজিদে ঈদের জামাতের পর আজ ফিলিস্তিনিদের জন্য দোয়া করা হয়েছে।