সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ) সাতক্ষীরা জেলা শাখার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৩ মার্চ) বেলা ১২টায় সাতক্ষীরা জেলা পুরাতন আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে আগামী ২বছরের জন্য এস.এম আব্দুল আলীমকে সভাপতি এবং মো. তারিকুজ্জামান তারিককে সাধারণ সম্পাদক করে ৩৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।
এর আগে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে জাতীয় এবং দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ) কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি আহসান হাবিব শামীম।
পরে সম্মেলনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি অনুপম কুমার অনুপের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) এস.এম আব্দুল আলীমের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক ও সাতক্ষীরা জেলা জাসদের সভাপতি শেখ ওবায়েদুস সুলতান বাবলু।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বাঙালী জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র কাঠামো গড়ে তোলার আন্দোলনে রূপান্তরের কারিগর হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করে খুনি খন্দকার মোশতাকসহ আওয়ামী লীগের একাংশ ক্ষমতা দখল করলে ছাত্রলীগ খুনি খন্দকার মোশতাকের বিরুদ্ধে কালবিলম্ব না করে আন্দোলনে অবতীর্ণ হয়। এরশাদ সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র গণআন্দোলনে ছাত্রলীগ নেতা জয়নাল, শাজাহান সিরাজ, ডাঃ মিলন, জাহাঙ্গীর, মুন্নাসহ ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মী শহীদ হন।
তিনি আরও বলেন, অতীতের গৌরব উজ্জ্বল সংগ্রাম ও চেতনাকে ধারণ করে বর্তমানে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বৈষম্য-বেকার সৃষ্টির সমাজ ও শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন, দুর্নীতি ও অপশাসনে শিক্ষার্থীদের জীবনের অপচয় বন্ধ, ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতি বিরোধী ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নির্মূল করার লক্ষ্যে অবিচল থেকে ছাত্র আন্দোলন গড়ে তুলবে বলে আমি মনে করি।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা জাসদের সহ-সভাপতি বিশ্বাস আবুল কাশেম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ জাকির হোসেন, জাতীয় নারী জোটের সভাপতি পাপিয়া আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস বীনা, জেলা যুব জোটের সাধারণ সম্পাদক মিলন ঘোষাল, বাগেরহাট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাঈম মল্লিক প্রমুখ।
সম্মেলনে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া, শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ ও সাম্প্রদায়িকীকরণ বন্ধ, শিক্ষার্থীদের উপর আর্থিক জুলুম বন্ধ, শিক্ষাঙ্গণে গণতন্ত্র ও মুক্তবুদ্ধির চর্চা নিশ্চিত, শিক্ষাঙ্গণে নারী শিক্ষার্থীদের উপর সকল ধরণের হয়ারাণি ও নির্যাতন বন্ধ, শিক্ষিত বেকারদের তালিকা তৈরি করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা ও চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫বছর করাসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরা হয়।