নিজস্ব প্রতিনিধি: দেবহাটা বিবিএমপি ইনস্টিটিউশন (পাইলট হাইস্কুল) পূর্ণাঙ্গ সরকারী করণ হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও সাতক্ষীরা-০৩ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ.ফ.ম রুহুল হক এমপিকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা।
শতবর্ষ পেরিয়ে সম্প্রতি বিদ্যালয়টি পূর্ণাঙ্গ সরকারী করণের চিঠি কর্তৃপক্ষের হাতে পৌঁছানোর পর আনন্দের জোয়ার বইছে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক, প্রাক্তন শিক্ষার্থীসহ এলাকার সর্বস্তরের মানুষের মাঝে। মঙ্গলবার বেলা ১২টায় বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে সকল শিক্ষক কর্মচারীরা উপজেলা চত্বরে অবস্থিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুর্যালে পুষ্পার্ঘ অর্পণের মধ্যদিয়ে সরকার প্রধানের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। পরবর্তীতে সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. আ.ফ.ম রুহুল হক এম.পি’র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশে উপজেলা চেয়ারম্যান ও আ.লীগ সভাপতি আলহাজ্ব মুজিবর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের মিষ্টিমুখ করিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন বিদ্যালয়টির শিক্ষক কর্মচারীরা।
এসময় দেবহাটা প্রেসক্লাব সভাপতি আব্দুর রব লিটু, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান শাওন, আ.লীগ নেতা আলী মোর্ত্তজা মো. আনোয়ারুল হক, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক দেব প্রসাদ ঘোষ, ছিদ্দিক আহমেদ, আব্দুল্লাহ, ফজলুল হক, আশরাফুজ্জামান, তাছলিমা পারভীন, ইসরাত লায়লা, বিষ্ণুপদ ঘোষ, গৌরচন্দ্র পাল, রোজি সুলতানা, চিরঞ্জীব ঘোষ, বৈদ্যনাথ মন্ডল, আফসার আলী, প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিদ্যালয়টির প্রাক্তন ছাত্র মীর খায়রুল আলম সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে দেশের যেসকল উপজেলায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে সরকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিলনা, সেসব উপজেলায় দুটি করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারীকরণের ঘোষনা দেন প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে দেবহাটার সরকারী খানবাহাদুর আহছানউল্লা (কেবিএ) কলেজ ও বিবিএমপি ইনস্টিটিউশনকে সরকারীকরণের জন্য মনোনীত করা হয়। সুদীর্ঘ প্রচেষ্টা শেষে গত ২৬ জানুয়ারী উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি পূর্ণাঙ্গ সরকারীকরণের চিঠি পৌঁছেছে কর্তৃপক্ষের হাতে। ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে দেবহাটার তৎকালীন প্রখ্যাত জমিদার ফনিভূষণ মন্ডল তার বাবার নামানুসারে বিদ্যালয়টির নাম করণ করেন বিপেন বিহারী মেমোরিয়াল পাবলিক ইনস্টিটিউশন। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিদ্যালয়টি বেশ সুনাম অর্জন করে চলেছে। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে মাল্টিমিডিয়া সংযুক্ত ক্লাস, ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব, ৪০টি কম্পিউটার সমন্বিত কম্পিউটার ল্যাবসহ নানা আধুনিক শিক্ষা সরঞ্জাম।
পূর্ববর্তী পোস্ট