শ্যামনগর প্রতিনিধি:
জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবের কারণে দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলে জনজীবনে সংকট প্রতিনিয়ত বাড়ছে। সুপার সাইক্লোন আম্ফানের আঘাত ও ইয়াসের প্রভাবে সংকট আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের পর জনজীবনে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসেনি। বরং টেকসই বেড়িবাঁধের অভাবে জনগণ দূর্ভোগ পোহাচ্ছে।
সম্প্রতি বর্ষা মৌসুমে দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলের বেড়িবাঁধ সংস্কারের কিছু কাজ শুরু হয়েছে। এসব কাজের অগ্রগতি নিয়ে জনমনে ক্ষোপ রয়েছে। উপকূলের বেড়িবাঁধ রক্ষার গাছ ও বাঁধের গোড়া থেকে মাটি কেটে বাঁধের সর্বনাশ করছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের নিযুক্ত ঠিকাদার। বেড়িবাঁধের কাজ স্থানীয় শ্রমিকদের দিয়ে করার কথা থাকলেও তা করা হচ্ছে এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে। বাঁধের পাশে গড়ে ওঠা সকল ধরনের হাজার হাজার গাছ কেটে দেওয়া হচ্ছে।
গতকাল কয়রা উপজেলার ৩ নং মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড এর পূর্ব হড্ডা গ্রামে বেড়িবাঁধ সংস্কারে এমন চিত্র উঠে এসেছে। এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে বেড়িবাধের পাশ দিয়ে থাকা সকল গাছ কেটে মাটি কাটছে।
এই গ্রামের সত্যজীত মিস্ত্রী বলেন,”এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে বেড়িবাধের পাশ দিয়ে থাকা গাছগুলো ভেঙে গাছের উপর মাটি ফেলা হচ্ছে। এভাবে হাজার হাজার গাছ নির্বিচারে কাটলে বেড়িবাঁধ দেওয়ার দরকার নেই। বাঁধের গোড়া থেকে মাটি কেটে বেড়িবাঁধে দেওয়া হচ্ছে। এভাবে বেড়িবাঁধের সর্বনাশ করা হচ্ছে।”
পূর্ব হড্ডা গ্রামের সকল স্তরের জনগণ বেড়িবাঁধের পাশের গাছ কাটা বন্ধের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তারা সরকারের নিকট টেকসই বেড়িবাঁধের দাবী করেছেন।