রাশিয়া সফর-ই ইমরানের পতন ঘন্টা বাঁজিয়ে-ই ছাড়ল!
(আব্দুল্ল্যাহ আল-মামুন)
বর্তমান talk of the media হলো ইসলামিক রিপাবলিক অব পাকিস্থানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের অকাল পতন।তবে এটি পাক-প্রজাতন্ত্রের জন্য নতুন কোন ঘটনা নয়।১৯৪৭ সাল হতেই যখন তারা স্বাধীন হয়েছিল তখন থেকেই তাদের দেশের কোন সরকারকেই মেয়াদ চুকাতে দেইনি।সকল সভ্য দেশের মতো তারা অতটাও সভ্য নয়।তৎকালীন পিরিয়ডে তারা অখন্ডিত (undivided) পাকিস্থানের পূর্ব পাকিস্থান তথা বর্তমানের গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশকে সতীনের হাটানো সন্তান মনে করে শাসন করতো।সবকিছুর ছাল ছাড়িয়ে শুধু হাড্ডি গুলো রেখে যেত বাংলার জন্য।অসভ্য( uncivilised) এ জাতি এখনো সভ্য হয়নি।সভ্যতার হাওয়া বদলের সাথে কিছুটা সভ্যতো হতেই হয়।পাকিস্থানের প্রধান মন্ত্রী ইমরান খানের প্রজ্ঞা-হেকমতের কারণে কিছুটা পরিবর্তনের মুখ দেখতে চলেছিল পাকিস্থান।কিন্তু বিংশ শতাব্দীর অন্যতম নোংরামীর ফাঁদে পা দিয়েছিল ইমরান খান।আমেরিকাকে উপেক্ষা করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রাক্কালে রাশিয়া সফর মি. খানের জন্য খানখান হয়ে গেল সবকিছু।এটি আপাত দৃষ্টিতে বিশ্বাস করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।সাথে ধারনা করা হয়েছে সাবেক স্ত্রী জেমিমার পাতানো মহা ফাঁদ।প্রশ্ন হলো বিরোধীরা যারা ইমরানকে আমেরিকা/ঈসরায়েলের এজেন্ট মনে করতো -বলতো কেন তবে এত বড় ক্ষমতা পেয়েও ইমরান আজ নতজানু-বিদ্ধস্থ-পরাজিত।তাহলে তার বিরোধীরা কি তবে সেই সংস্থা গুলোর সোল এজেন্ট? এটিই এখন ইমরান ভক্তদের পাল্টা প্রশ্ন।আসলেই রাশিয়া সফর -ই তার পতনের মূল এবং একমাত্র কারণ হতে পারেনা। প্রকৃত পক্ষে পাকিস্থানে শক্তিশালী বিচার বিভাগ আছে তবে পাকিস্থানের জনগণ সভ্য নয়।তারা আজন্ম অসভ্য বর্বর একটা জাতি।শুধু ইমরান খান কেন কোন খানই পাকিস্থানের সরকারের পূর্ণ মেয়াদ চালাতে অক্ষম।
(শিক্ষক ও কলামিষ্ট)