নিজস্ব প্রতিবেদক: দুই তিন মাসের ভাল লাগা থেকে ভালবাসা। মন দেয়া-নেয়া চলছিল চুটিয়ে। সকলের অগোচরে দেখা-সাক্ষাত ও মোবাইলে গোপনে কথা আদান-প্রদান দুজনের মধ্যে ভাব জমেছিল বেশ। ১৪ ফেব্রুয়ারী বিশ্ব ভালবাসা দিবসে দিনের বেলাতে দেখা করে গোলাপ ফুলের শুভেচ্ছা বিনিময়। হ্যাপি ভ্যালেন্টাইন জানানো সব কিছুই ঠিকঠাক মত হয়। কিন্তু সন্ধ্যা বেলার চোখের সামনে একটি দৃশ্য সব কিছু এলোমেলো করে দিয়ে অন্ধকার অমানিশা ভর করে প্রেমিকের উপর। মুহুর্তেই সিন্ধান্ত এ জীবন আর না রাখার। শেষ পর্যন্ত হলোও তাই । সিনেমার অবাস্তব কল্প কাহিনীকেও হার মানিয়েছে বাস্তব এই ঘটনা।
গত রবিবার (১৪ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় প্রেমের ইতিহাসে লেখার মত ঘটনাটি ঘটে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের নুনগোলা গ্রামে।
বিভিন্ন মাধ্যম থেকে পাওয়া তথ্য থেকে জানা যায়, যশোর জেলার বেনাপোল গ্রামের আজিবর হোসেন বাবলুর পুত্র ইয়াসিন আরাফাত (১৬) ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের মেল্লেকপাড়া গ্রামে নানার বাড়ীতে থাকতো। কাজের সুবাদে ব্রহ্মরাজপুর চেয়ারম্যান বাড়ী এলাকায় যাতায়াতের ফলে নুনগোলা গ্রামের এক দিনমজুরের কন্যা ও ডিবি ইউনাইটেড হাইস্কুলের নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত রবিবার (১৪ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় নুনগোলা দক্ষিণপাড়া গ্রামের মাহফিলের বাজারে ওই ছাত্রী অন্য একটি ছেলের সাথে ঘোরাফেরা করতে দেখে। শুধু তাই নয় ওই ছেলের মুখে খাবার তুলে দিতে দেখে নিজেকে আর সহ্য করতে না পেরে ইয়াসিন আরাফাত সামনে উপস্থিত হয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে। এ সময় এক মুহুর্ত আর দেরি না ইয়াসিন সাইকেল চালিয়ে দ্রুত ব্রহ্মরাজপুর বাজারে গিয়ে ইঁদুর তাড়ানোর গ্যাস ট্যাবলেট নিয়ে এসে প্রেমিকার সামনেই সেবন করে। মুহুর্তেই অসূস্থ হয়ে পড়ে বাজারে । মাহফিলের বাজারের লোকজন উদ্ধার করে প্রথমে ব্রহ্মরাজপুর বাজারের এক গ্রাম্য চিকিৎসক চিকিৎসা দেয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ লাশের ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট