নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালসহ জেলার সকল উপজেলা
হাসপাতালের নানাবিধ সমস্যা বিষয়ে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন
শাফায়াত এঁর সাথে জেলা নাগরিক অধিকার ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মতবিনিময়
সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২২ আগস্ট) দুপুরে সদর হাসপাতালের কনফারেন্স
রুমে সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক অধিকার ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির আয়োজনে
সংগঠনের সভাপতি ও দৈনিক দৃষ্টিপাত সম্পাদক ও প্রকাশক জি এম নুর ইসলামের
সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় হাসপাতাল সমূহের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে
বক্তব্য রাখেন জেলা নাগরিক অধিকার ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সিনিয়র
সহ-সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবক আলহাজ¦ ডা. আবুল কালাম বাবলা, সহ-সভাপতি
অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন, আব্দুর রব ওয়ার্ছি, তৈয়েব হাসান বাবু, ফারহা
দীবা খান সাথী, সাধারণ সম্পাদক মো. মশিউর রহমান বাবু, যুগ্ম সাধারণ
সম্পাদক ও সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সুজন,
অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ পাড়, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান রাসেল,
মহিলা সম্পাদিকা মুর্শিদা আক্তার, যুগ্ম মহিলা সম্পাদিকা নাসিমা খাতুন,
প্রচার সম্পাদক মো. আশরাফুল করিম ধনি, সাকিবুজ্জামান বাবলা, মোস্তাফিজুর
রহমান মোস্তাক প্রমুখ। সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক অধিকার ও উন্নয়ন সমন্বয়
কমিটির নেতৃবৃন্দ বলেন, সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালসহ জেলার সকল উপজেলা
হাসপাতালের সরকারি চিকিৎকগণ তাদের প্রাইভেট ক্লিনিকে সময় দেন। যে কারণে
সাধারণ গরীব রোগীরা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সদর হাসপাতালের
আরএমও হাসপাতাল রেখে সব সময় প্রাইভেট ক্লিনিকে থাকেন। এসময় জরুরী বিভাগের
চিকিৎসা সেবা পরিচালনা করে তার কর্মচারীরা। সাধারণ রোগীদের সেবা না দিয়ে
দালালদের মাধ্যমে অন্য ক্লিনিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। রোগী প্রাপ্য ওষুধ না
দিয়ে হাসপাতালের স্টাফরা খরচ দেখিয়ে দেয়, প্যাথলজি বিভাগে পরীক্ষা না করে
কৌশলে বাহিরে তাদের নির্ধারিত ডায়াগস্টিক সেন্টারে পাঠায়, সদর হাসপাতালের
সকল টয়লেট নোংড়া ও অপরিচ্ছন্ন, রোগীদের খাবারের মান খুবই খারাপ, লাইসেন্স
বিহীন ও চালানোর অনুপযোগি ক্লিনিক বন্ধের দাবী, সদর হাসপাতালসহ সকল
হাসপাতালের চিকিৎসার মান উন্নতকরণ বিষয়সহ বিভিন্ন অভিযোগ ও সমস্যাগুলি
শোনার পর সিভিল সার্জন চিকিৎসা সেবার মান উন্নয়নসহ সকল সমস্যা সমাধানে
উদ্যোগ নেবেন বলে আশ্বস্থ করেন। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা
নাগরিক অধিকার ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. মশিউর রহমান
বাবু।