ফিরোজ হোসেন, হাজার হাজার মানুষের অংশগ্রহণে জামায়াতে ইসলামীর সাতক্ষীরা জেলার সাবেক আমীর, সাতক্ষীরা সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল খালেকের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রুবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে জানাযা নামাজ শেষে তাকে তার পারিবারিক কবরস্থান সাতক্ষীরার সদর উপজেলার বৈকারি গ্রামে দাফন করা হয়।
শুক্রুবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মাওলানা আব্দুল খালেকের লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স বৈকারি পৌঁছায় ।
জানাযা নামাজের আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ মোঃ ইজ্জত উল্লাহ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারী খুলনা অঞ্চল পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের ক্রেন্দ্রীয় সহসভাপতি মাষ্টার শফিকুল আলম, খুলনা মহানগরীরর সাবেক আমীর, আবুল কালাম আজাদ, সাতক্ষীরা জামায়াতের আমীর মুহাদ্দিস রবিউল বাশার, নায়েবে আমীর অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম মুকুল, শেখ নুরুল হুদা, জেলা সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুর রহমান, এড, আব্দুস সুবহান মুকুল, শহর ছাত্রশিবিরের সভাপতি শিমুল হোসেন, সদর জামায়াতের আমীর মাওলানা শাহাদাৎ হোসেন, শ্যামনগর জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আব্দুর রহমান, কাজী সিদ্দিকুর রহমান, চেয়ারম্যান আব্দুল গফফর, শহীদ হাসানসহ অনেকে।
বৈকারির শিকরা বিশাল ফুটবল ময়দানে অনুষ্ঠিত জানাযার নামাজে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার লক্ষাধিক মানুষ অংশ নেয়। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৪ মার্চ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের সাবেক আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল খালেক মন্ডলকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সাতক্ষীরায় তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকায় তাকে সাতক্ষীরা জেলা কারাগারে রাখা হয়েছিল। গত ৭ জুলাই তার মস্তিস্কে রক্তক্ষরণ হয়। চিকিৎসার জন্য তাকে ভর্তি করা হয় সামেক হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি হলে পরে তাকে খুমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধিন অবস্থায় বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টা ৪৫ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।
পূর্ববর্তী পোস্ট