ফিরোজ হোসেন, সাতক্ষীরা ঃ সাতক্ষীরায় পৃথক ঘটনায় প্রেমিকাকে হত্যার দায়ে প্রেমিক আব্দুর রহমান এবং তরুনীকে ধর্ষণের অভিযোগে ধর্ষক রবিউল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। এসময় জনাকীর্ণ আদালতে আসামী আব্দুর রহমানের উপস্থিতিতে এবং অপর আসামী রবিউল ইসলামের অনুপস্থিতিতে স্ব-স্ব আদালতের বিচারক এ রায় দেন। এছাড়া প্রেমিক আব্দুর রহমানকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ বছরের কারাদ- এবং ধর্ষক রবিউল ইসলামকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদ- দেওয়া হয়েছে।
বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ চাঁদ মোহাম্মদ আলিম আল রাজি এবং নারী ও শিশু আদালতের বিচারক এমজি আযম পৃথক দুটি ঘটনায় এ রায় দেন।
আসামী আব্দুর রহমান (২০) কলারোয়া উপজেলার জালালাবাদ গ্রামের আলতাফ হোসেনের পুত্র এবং আসামী রবিউল ইসলাম (৩৫) আশাশুনি উপজেলার মনিপুর গ্রামের মোকছেদ আলী গাজীর পুত্র।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আসামী আব্দুর রহমানের সাথে জালালাবাদ গ্রামের সোহরাব হোসেনের কন্যা কলারোয়া গার্লস পাইলট স্কুলের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী সানজিদা হোসেন সেজুতির (১৩) প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। গত ২৭ মার্চ ২০২২ তারিখে রাতে সে নিখোঁজ হয়। পর দিন ২৮ মার্চ সকালে সেজুতির মরদেহ বাড়ির পাশে মাঠ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এঘটনায় সেজুতির মা লায়লা পারভীন ওই দিন (২৮ মার্চ) কলারোয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। যার জি আর মামলা নং ১৪৮/২২। এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত আসামী আব্দুর রহমান আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। মামলায় ১২ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত আজ আসামী আব্দুর রহমানের উপস্থিতিতে যাবজ্জীবন কারাদন্ড, ১ লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ বছরের কারাদন্ডের আদেশ দেন।
অন্যদিকে, ২০১০ সালের শুরুর দিকে আশাশুনি উপজেলার মনিপুর গ্রামের ১৯ বছরের তরুনীকে একটি মৎস্যঘেরের পাশে পরিত্যাক্ত বাড়িতে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষন করে একই এলাকার মোকছেদ আলীর পুত্র রবিউল ইসলাম। ধর্ষনের পর মেয়েটি অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়লে ওই বছরের ২৯ জুন তারিখে ধর্ষিতার পিতা আদালতে ধর্ষক রবিউলের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। যার জি আর মামলা নং ২৩৯/১০। উক্ত মামলায় ৫ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত রবিউল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদ-ের রায় দেন।
সাতক্ষীরা জজকোর্টের পিপি এড. আব্দুল লতিফ দুটি রায়ের বিষয় নিশ্চিত করেছেন।