সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ঃ চার দিনের ব্যবধানে দু’বার ধর্ষণের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার ভিকটিম এসএসসি পরীক্ষার্থী মাইমুনা ইয়াসমিনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে সাতক্ষীরা শহরের কাটিয়া এলাকার চাচা মুনসুর আলীর বাড়ি থেকে তার ঝুলনা মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মৃত মাইমুনা ইয়াসমিন সাতক্ষীরা শহরের দক্ষিণ কাটিয়া ঈদগাহ এলাকার আজিজুর রহমানের মেয়ে। সে নবারুন বালিকা বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল।
কাটিয়া পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মিজানুর রহমান জানান, গত ৩ মে সাতক্ষীরা শহরতলীর ইটাগাছার বনলতা হাউজিং কমপ্লেক্স এলাকায় এক সময়কার সহপাঠীর বাড়িতে যেয়ে পূর্ব পরিচিত জেলার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের খলিষাবুনিয়া গ্রামের হৃদয় হোসেন চেতনানাশক ¯েপ্র করে মাইমুনা ইয়াসমিনকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ রয়েছে। একইভাবে গত ৭ মে সন্ধ্যার পর বাড়ির পিছনে এক নারীর সহযোগিতায় গোয়ালঘরে হৃদয় তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ রয়েছে। চার দিনের ব্যবধানে ওই মেয়ে দুইবার ধর্ষিত হয়েছে এমন অভিযোগে তার বাবা আজিজুর রহমান বাদি হয়ে গত ৯ মে সাতক্ষীরা সদর থানায় হৃদয় হোসেন ও দুই নারীর নাম উল্লেখ করে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলা রেকর্ডের পর ঘটনাস্থলে যেয়ে ও ওই দুই নারীসহ চারজনকে থানায় ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ভিকটিমের বক্তব্যের সাথে মামলায় বর্ণিত অভিযোগ গোলমাল থাকায় তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরদিন ১০ মে মেয়েটি সাতক্ষীরার বিচারিক হাকিম ইয়াসমিন নাহারের কাছে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেয়। একই দিনে সদর হাসপাতালে তার ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়। মামলার পর থেকে মেয়েটি বিমর্ষ ছিল।
মিজানুর রহমান আরো জানান, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে মাইমুনা ইয়াসমিনের মরদেহ তার বাড়ি সংলগ্ন ঢাকায় অবস্থানকারি চাচা মুনসুরের ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ গোলাম কবীর জানান, মাইমুনা ইয়াসমিনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মৃতের বাবা আজিজুর রহমান বাদি হয়ে মঙ্গলবার রাতেই থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন। তিনি আরো জানান, নিহতের ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর তার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
পূর্ববর্তী পোস্ট